এমনিতেই কার্যত ধরাশায়ী অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। তার উপর হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরে আরই ঘরে-বাইরে চরম অশান্তিতে বিজেপি। কার্যত জর্জরিত অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। মহম্মদ বিতর্কে বিজেপির অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই নেত্রীকে বরখাস্ত করেছিল দল। এর মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লী পুলিশ। আন্তর্জাতিক মহলেও নূপুরের মন্তব্যে বিপাকে পড়েছে ভারত সরকার। এই অবস্থায় সাহস করে নূপুরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না একজন বিজেপি নেতাও। কিন্তু ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। যে সে ধাতুতে গড়া না, অন্যবারের মতোই এবারও বুঝিয়ে দিলেন। এদিন নাম না করে একটি টুইটে নূপুরের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। এর আগে নূপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থন আসে বিদেশ থেকে। নেদারল্যান্ডসের ডানপন্থী নেতা গির্ট উইলডার্সকে নূপুরের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বক্তব্যের পক্ষে টুইট করেন। দেশে কট্টর ইসলামবিরোধী হিসেবে পরিচিত উইলডার্স টুইট করেছিলেন, “সব সময় সন্তুষ্ট করে কাজ চলে না, তাতে ক্ষতিই হয়। অতএব, আমার ভারতের বন্ধুরা, ভয় পারেন না ইসলামিক দেশগুলিকে। স্বাধীন বক্তব্য পেশ করুন। নিজেদের নেত্রীর জন্য গর্বিত হন ও তাঁর পাশে দাঁড়ান।”
এদিন উগ্র হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত নেত্রী অবশ্য সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেছেন। নূপুর শর্মার নাম না তুলে টুইট করেন, “সত্যি বলা যদি অপরাধ হয় তবে আমিও অপরাধী।” সাধ্বী আসলে ঘুরিয়ে বললেন, নূপুর শর্মা যা বলেছিল তা সত্যবচন। ঘরে-বাইরে দল যখন অস্বস্তিতে তখন স্পষ্টত দিল্লির বাসিন্দা বিজেপি নেত্রীর পাশেই দাঁড়ালেন সাধ্বী। এই টুইট ছাড়াও ভোপালে এক সাংবাদিক বৈঠকে সাধ্বী বলেন, “ভারত হিন্দুদের, সনাতন ধর্ম এখানেই থাকবে।” তাঁর কথায়, বিধর্মীরা “আমাদের দেবদেবী নিয়ে সিনেমা বানিয়েছে। তাদের কমিউনিস্ট ইতিহাস রয়েছে। কমলেশ তিওয়ারি মুখ খোলায় তাঁকে খুন হতে হল। কেউ কিছু বলেছে, তাই তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে সাধ্বীর মতো সরাসরি নূপুরের পাশে না দাঁড়ালেও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ মহেশ জেঠমালিনির মন্তব্য, নূপুরের বক্তব্য নিয়ে দেশে এত হইচই হওয়ার কথা ছিল না। এই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।’