কিছুদিন আগেই দাবি তোলা হয়েছিল যে, কুতুবউদ্দিন তাঁর শাসনকালে হিন্দু ও জৈন মিলিয়ে মোট ২৭টি মন্দির ধ্বংস করে সেই জায়গায় মসজিদ গড়ে তুলেছিলেন। এই মামলাটি গোড়াতেই থামিয়ে দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্থাপত্য খনন করে মাটি তছনছ করা চলবে না। পরে আবার একই দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল সেই কুতুব মিনার চত্বরে মন্দির পুনরুদ্ধার সম্পর্কিত মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লী কোর্ট।
এদিকে কুনওয়ার মহেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তির দাবি, দক্ষিণ দিল্লীর অধিকার তাঁরই। এই ব্যক্তি নিজেকে রাজ পরিবারের বংশধর বলে দাবি করেন আদালতে। তাঁর আরজির শুনানি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই মামলাটির শুনানি হবে। মহেন্দ্র সিং নামের ওই ব্যক্তির আইনজীবী এম এল শর্মার দাবি, ১৯৪৭ সালে তাঁর মক্কেলের পূর্বপুরুষ রাজা রোহিণীরমন ধওয়াজ প্রসাদের জীবদ্দশায় ভারত স্বাধীন হয়েছিল। তিনি ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মীরাট থেকে আগ্রা পর্যন্ত চারটি এস্টেটের মালিক ছিলেন।
আদালতে তিনি জানান, স্বাধীনতার পরে তৎকালীন জওহরলাল নেহেরু সরকারের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে কোনও সন্ধি চুক্তি করা হয়নি, এমনকী সংযুক্তিকরণের পথেও হাঁটেনি সরকার, অধিগ্রহণও হয়নি, ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। মহেন্দ্র সিং অভিযোগ করেছেন, এতদিন দিল্লী সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার কোনও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তার আইনগত অধিকার হরণ করেছে। তার আইনজীবী দাবি করেছেন তিনি মামলাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেছেন এবং তাঁর মক্কেলের সম্পত্তির আইনি অধিকার রক্ষা করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
Read: বিজেপি মিডিয়া সেল জানানোর পরেও অধিবেশনে নেই পদ্ম-বিধায়করা – দলের অন্দরে বনিবনার অভাব? উঠছে প্রশ্ন
Twitter: বিজেপি মিডিয়া সেল জানানোর পরেও অধিবেশনে নেই পদ্ম-বিধায়করা – দলের অন্দরে বনিবনার অভাব? উঠছে প্রশ্ন
Tripura