ফের বড়সড় অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। এবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিনে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রবল বিভ্রান্তি ও টানাপোড়েন তৈরি হল বিজেপির পরিষদীয় দলের অন্দরমহলে। শুক্রবার অধিবেশনের শুরুর দিনে ছিল শোক প্রস্তাবের পর্ব। এই পর্বে যোগদান নিয়েই তৈরি হয় বিজেপি পরিষদীয় দলের বিভ্রান্তি। বিধায়কদের একাংশের ধারণা ছিল শোক প্রস্তাবের তাঁরা অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তীকালে শেষ মুহূর্তের নির্দেশেই ওই কর্মসূচী বাতিল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির মিডিয়া সেলে তরফে জানানো হয়েছিল, পদ্ম শিবিরের বিধায়করা বিধানসভার অধিবেশনের শোক প্রস্তাবে যোগ দেবেন। সেই মতো বিধায়কদের একাংশ শোক প্রস্তাব যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিষদীয় দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁদের সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। তবে আগামী সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সাসপেন্ড হওয়া সাত বিধায়কের শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে দু’টি পৃথক প্রস্তাব আনবে বিজেপির পরিষদীয় দল। কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ মতো তাঁরা এই পদক্ষেপ করবেন। সেই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার উপরেই বিধানসভা অধিবেশনের পরবর্তী দিনগুলিতে বিজেপি বিধায়কদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশেনের শেষ দিনে কার্যত তোলপাড় কাণ্ড হয়েছিল। অধিবেশন কক্ষের ভিতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন বিধায়ক। একে অন্যের জামা ধরে টানাটানি পর্যন্ত হয়েছিল। সেদিনের ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিধানসভা থেকে। এর আগে অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গণ্ডগোলের জেরে দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি শিবির। আদালত বলেছিল, বিধানসভার এই সমস্যা মেটাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষই। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার বিজেপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছিল, আজ বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু তারপর আবার সিদ্ধান্ত বদল। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। সূত্র অনুযায়ী, সোমবার দুটি মোশন আনতে চলেছে পদ্মশিবির। মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় জন্য একটি। অন্যটি শুভেন্দু সহ বাকি বিধায়কদের জন্য। শুক্রবার সকালেও শোনা যাচ্ছিল, বিজেপির যে বিধায়করা সাসপেন্ড নন, তাঁরা বিধানসভার কাজে অংশ নেবেন। যাঁরা সাসপেন্ড, তাঁরা আদেম্বকর মূর্তি বা পোর্টিকোতে বিধানসভার কাজ করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিবেশন শুরু হয় বিজেপি বিধায়কদের বাদ দিয়েই। যা ঘিরেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে সমন্বয়ের অভাব? উঠছে এমনই প্রশ্ন।
Read: মোদী সরকারের নতুন নীতির জেরে মাথায় হাত আমূলের – বিশেষ আর্জি জানাল কর্তৃপক্ষ
Twitter: মোদী সরকারের নতুন নীতির জেরে মাথায় হাত আমূলের – বিশেষ আর্জি জানাল কর্তৃপক্ষ
BJP