বাংলার ব্যাটাররা যে কামাল করছে সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বাংলা দলের ব্যাটিং নিয়েই চিন্তা ছিল কোচ অরুণ লালের। রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে ব্যাটিংয়ের উপর বিশেষ নজর দিয়েছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে সুদীপ ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদাররা রেকর্ড ৭৭৩ রান করে প্রমাণ করে দিলেন, তাঁরা ছন্দে থাকলে ঘটাতে পারেন অনেক কীর্তি। বাংলার রঞ্জি ইতিহাসে এটিই সব থেকে বড় রানের ইনিংস। ৭০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মনোজ তিওয়ারিরা। ১৯৫১-৫২ মরসুমে অসমের বিরুদ্ধে ইডেনে ৭৬০ রান করেছিল বাংলা। সেটাই এত বছর রঞ্জিতে বাংলার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। বুধবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলা সাত উইকেট হারিয়ে তোলে ৭৭৩ রান। সেখানেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন অভিমন্যু ঈশ্বরনরা। রঞ্জিতে এক ইনিংসে সব থেকে বেশি রানের রেকর্ড হায়দরাবাদের।
১৯৯৩-৯৪ মরসুমে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ছয় উইকেট হারিয়ে ৯৪৪ রান তুলেছিল তারা। বাংলার ন’ব্যাটার পঞ্চাশের উপর রান করে ভেঙেছিলেন ১২৯ বছর পুরনো রেকর্ড। ১৮৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি দলের আট ব্যাটার ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত দলের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান বা তার বেশি করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় বাংলা। তৈরি হয় বিশ্বরেকর্ড। রেকর্ড গড়েছেন বাংলার আকাশ দীপ। বল হাতে নয়, ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা আকাশ বুধবার বাংলার হয়ে ১৮ বলে ৫৩ রান করেন। রঞ্জিতে বাংলার হয়ে দ্রুততম অর্ধশতরান করার কীর্তি গড়লেন আকাশ। ২৯৮ রানে শেষ ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস। শতরান করেছেন বিরাট সিংহ।
ranji trophy