কাঠফাটা রোদে যেখানে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত, নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। সেখানেই ছাদে পড়ে রয়েছে একরত্তি। পিছমোড়া করে হাত-পা বাঁধা তার। ছটফট করলেও খোলার উপায় নেই। তপ্ত রোদে খোলা ছাদে এই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে পাঁচ বছরের এক শিশু। কেন? হোম ওয়ার্ক করেনি বাচ্চা। তাই শাস্তি দিয়েছে মা। রোদে গা-হাত-পা পুড়ে যাচ্ছে, যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও শুনছে না কেউই। বুধবার এমনই এক অমানবিক দৃশ্য ধরা পড়ল রাজধানীর বুকে। ইন্টারনেটে ওই শিশুটির হাত-পা বাঁধা ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। পুলিশের নজরেও ছবিটি আসতেই ওই শিশুর পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। জানা যায়, হোমওয়ার্ক না করায় সন্তানকে এমন অমানবিক ‘শাস্তি’ দিয়েছিলেন মা। সরাসরি সূর্যালোকের নীচেই দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকায়, শিশুটির হাত-পা রোদে পুড়তে শুরু করেছিল। শরীরে জ্বালা-পোড়া শুরু হওয়ায় চিৎকার করতে শুরু করে সে। কিন্তু তাতেও মন গলেনি মায়ের।
সন্তানকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে আসেননি তিনি। শিশুটির উপর ওই অত্যাচারের ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। খোঁজ শুরু করা হয় ওই শিশু ও তাঁর পরিবারের। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছিল যে দিল্লীর কারওয়াল নগর এলাকার ঘটনা এটি। গত ২ জুন এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ ওই অঞ্চলে খোঁজ-খবর নিয়ে এমন কোনও তথ্যই জানতে পারেনি। শেষ অবধি জানা যায়, খাজুরি খাস এলাকার ভিডিয়ো এটি। ভিডিয়ো দেখেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, সেখানে শিশুটির মাকে জেরা করে জানা যায় যে পাঁচ বছরের মেয়ে হোমওয়ার্ক না করায়, তিনি শাস্তি হিসাবে ছাদে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখেছিলেন। দুপুর ২টো নাগাদ ওই শিশুটিকে তাঁর মা ছাদে ফেলে রেখে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই নেটাগরিকরা অভিভাবকের কড়া শাস্তির দাবি জানান।
punishment
read: পাখির চোখ উইম্বলডন – বাড়ি ফিরেই বাঁ পায়ের চিকিৎসা শুরু করে দিলেন নাদাল
twitter: পাখির চোখ উইম্বলডন – বাড়ি ফিরেই বাঁ পায়ের চিকিৎসা শুরু করে দিলেন নাদাল