দিল্লীর নির্ভয়া-কাণ্ডের করাল ছায়া ফিরে এল দেশে। এবার বিজেপি-জোটশাসিত বিহারে বাসের মধ্যে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিনজনের বিরুদ্ধে। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে বাসের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতের এই ঘটনা ২০১২ সালে ভয়াবহ দিল্লী গণধর্ষণের কথা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেতিয়া শহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাটনা যাওয়ার বাস ধরার জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসেছিল ওই নাবালিকা। তারপরেই অভিযুক্ত ড্রাইভার ওই নাবালিকাকে বাসে তোলে। স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে ফাঁকা রাস্তায় নিয়ে আসে বাসটি। সেখানে নাবালিকাকে কোল্ড ড্রিঙ্কস খেতে দেয় বাসের চালক। সম্ভবত সেই পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। তা খেয়েই বেহুঁশ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা।
এরপর অচৈতন্য অবস্থাতেই তাকে গণধর্ষণ করে বাসের চালক, সহকারী ও কন্ডাক্টর। ঘটনার পরে নাবালিকাকে বাসের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরের দিন সকালে জ্ঞান ফেরে নাবালিকার। দরজা বন্ধ থাকায় বাস থেকে বেরতে পারেনি সে। বারবার দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে ওই নাবালিকা। সেই শব্দ শুনতে পেয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। আপাতত শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে ওই নাবালিকার। বেতিয়ার সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মুকুল পাণ্ডে জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। তার মধ্যে বাসের চালক ও সহকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করা হচ্ছে।” বিগত ২০১২ সালে একইভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছিল দিল্লীর এক তরুণীর উপরে। পাশবিক অত্যাচার চালানোর ফলে সাংঘাতিকভাবে আহত হন তিনি। বেশ কিছুদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানেন নির্ভয়া। সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। উক্ত ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অভিযুক্তদের।
bihar
read: পিত্তথলিতে পাথর! – কলকাতা এসেই অসুস্থ কোচ ভিকুনা, হয়েছে অস্ত্রোপচারও