ছেলে মেয়ে কেউই কারুর থেকে কম নয় আর। সবাই এগিয়ে রয়েছে নিজের নিজের জায়গায়। মেয়েরা ঘরে বাইরে একসাথে সামলায়। কিন্তু তার সাথে শোনা যায় এমন নৃশংসতার ঘটনাও। নার্স হিসেবে সরকারি চাকরি পেয়েছিল রেণুু খাতুন। তাই তার হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিল স্বামী৷ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা সেই রেণুু খাতুনের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার৷ স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে তাঁর বদলি হয়ে যেতে পারে অথবা স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা ছিল শের মহম্মদের৷ তাই স্ত্রী রেণু খাতুন সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেতেই তাঁকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে শের মহম্মদ৷ সেই মতো দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর হাতের কব্জি কেটে নেয় রেণুর স্বামী শের মহম্মদ৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, হাত না থাকলেও যাতে কাজের অসুবিধা না হয়, রেণু জন্য সেরকম কাজেরই ব্যবস্থা করা হবে৷
পাশাপাশি, রেণুর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃত্রিম হাতেরও ব্যবস্থা করা হবে৷ দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে রেণুর চিকিৎসার যাবতীয় খরচও বহন করবে রাজ্য৷ শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে রেণুর আরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে রাজ্য সরকার৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ও নার্সিং পরীক্ষায় বাইশতম স্থান দখল করেছিল৷ কিন্তু হাত না থাকায় ওঁর পক্ষে নার্সের কাজ করা কঠিন৷ তাই আমরা ওঁর জন্য এমন কাজের ব্যবস্থা করব যাতে ও মুখে কথা বলেই সেই কাজ করতে পারে৷ এ ছাড়াও আমরা ওঁর জন্য কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করছি৷’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকলেও দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তা গ্রহণ করা হয়নি৷ কেন ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নেওয়া হল না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
mamata
read: ‘ভবানীপুর শান্ত এলাকা, শান্তই থাকবে’ – শীঘ্রই খুনের কিনারা হবে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী