চলতি বছরের শেষেই গুজরাত লোকসভা নির্বাচন। এতদিন সে রাজ্যের নির্বাচনী লড়াইটা বিজেপি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এইবার চিত্রনাট্যে প্রবেশ ঘটেছে আম আদমি পার্টির। দিল্লী, পাঞ্জাবের পর এবার গুজরাতেও শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। ইতিমধ্যেই মোদী রাজ্যে আপ-এর প্রচারাভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে। আর, গুজরাতে ভাল ফল করার লক্ষ্যে, আপ পাখির চোখ করেছে বিজেপির গড় হিসাবে পরিচিত ‘মেহসানা’। যা মূলত ‘পতিদার’ সম্প্রদায় অধ্যূষিত। তবে শুধু মেহসানাতেই নয়, বিজেপিকে কড়া লড়াই ছুঁড়ে দিতে পতিদার সম্প্রদায়ের ভোটকেই যে নিশানা করছে আপ, তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেজরি। গত সোমবারই উত্তর গুজরাতের মেহসানায় এক বিরাট রোড শো করেছেন আপ সুপ্রিমো। গত দুই মাসের মধ্যে গুজরাতে এটি ছিল তাঁর চতুর্থ কর্মসূচি। তিন দশকের বিজেপি রাজের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি। লক্ষ্যনীয়ভাবে, তাঁর আক্রমণের নিশানা ছিলেন গুজরাত বিজেপির সভাপতি সিআর পাতিল। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল নন। সিআর পাতিলের বিরুদ্ধে তিনি রাজ্যে ‘পুতুল সরকার’ চালানোর অভিযোগ করেন।
কেজরি বলেন, ‘মানুষ আমায় বলেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। কিন্তু, সত্যিকারের মুখ্যমন্ত্রী তো পাতিল সাহাব, প্যাটেল নন’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আক্রমণের মধ্যে প্যাটেলদের আপের পক্ষে আনার চেষ্টা স্পষ্ট। তাঁদের দাবি, গুজরাতের নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে পতিদার ভোট ব্যাঙ্ক একটা বড় চাবিকাঠি। রাজ্যের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ পতিদার সম্প্রদায়ের। পতিদার সম্প্রদায়ের মূল বসবাস মেহসানাতেই। ২০১৫ সালে যে পতিদার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক উত্থান ঘটেছিল হার্দিক প্যাটেলের সেই আন্দোলনেরও আঁতুড়ঘর ছিল মেহসানা। তবে শুধু মেহসানাতেই নয়, গুজরাতের এই শক্তিশালী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মানুষ ছড়িয়ে আছেন গোটা উত্তর গুজরাট, সৌরাষ্ট্র, আহমেদাবাদ, মধ্য গুজরাটের গান্ধীনগর এবং সুরাটেও। গত সাত বছরে গুজরাতের দুই মুখ্যমন্ত্রী (আনন্দীবেন প্যাটেল এবং ভূপেন্দ্র প্যাটেল) এবং একজন উপ-মুখ্যমন্ত্রী (নিতিন প্যাটেল) হয়েছেন এই সম্প্রদায় থেকেই। এর থেকেই এই সম্প্রদায়ের শক্তি বোঝা যায়। এবার এই সম্প্রদায়ের ভোট জয়কেই নিশানা করেছে আম আদমি পার্টি।
aap
read: ২৭ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া বাংলার মন্ত্রীমশাইয়ের – ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ফিরলেন ৭৩ রানে