সংকটের বশবর্তী মানবজীবন বাঁচানোর জন্য সঠিক সময় সঠিক গ্রুপের রক্ত পাওয়া খুবই জরুরি। এবার এই সব সমস্যার সমাধান করতে নতুন উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আসতে চলেছে একটি মোবাইল অ্যাপ। সূত্রের খবর, জীবনশক্তি লাইভ নামক ওই অ্যাপ্লিকেশনটিতে দুটো অংশ থাকবে। একটি সাধারণ মানুষের জন্য এবং অপরটি স্বাস্থ্যভবন এবং ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী, আধিকারিকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এরপর থেকে রক্তের অনলাইন রিক্যুইজিশন স্লিপ বেরবে। নিকটবর্তী কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে সেই গ্রুপের রক্ত পাওয়া যেতে পারে, তাও অ্যাপের মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হবে। রক্তের জন্য জোড়হাত করতে হবে না কাউন্টারে দাঁড়িয়ে। রোগীর বাড়ির লোকেদের ভোগান্তি কমাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, চলতি বছর জুলাইয়ে রাজ্য সরকার নিয়ে আসতে চলেছে জীবনশক্তি লাইভ অ্যাপ। ওই অ্যাপের মাধ্যমেই, বাড়ির কাছে কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে কোন গ্রুপের কত ইউনিট রক্ত রয়েছে, তা জানা যাবে মুহূর্তের মধ্যেই।
পাশাপাশি, রক্তদান শিবির আয়োজন থেকে শুরু করে রক্তের জরুরি পাঁচ পরীক্ষা, রোগীর বাড়ির লোকেদের রক্তের রিকুইজিশন স্লিপ ইত্যাদি বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা আনতেই এমন উদ্যোগী নিচ্ছে রাজ্য। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিষেবায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই অ্যাপ্লিকেশনটি পরীক্ষামূলকভাবেই চালু করা হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সরকারের জীবনশক্তি নামক অ্যাপের মাধ্যমে এখনও রক্ত সংক্রান্ত এই কাজ চালানো হয়। কিন্তু সেই অ্যাপের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কারণ ওই অ্যাপ্লিকেশনটিতে লাইভ আপডেট থাকে না। ফলে রোগীর বাড়ির লোকেরা নাজেহাল হন। যদিও এখনও সেই অ্যাপেই কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে, ৮৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের মধ্যে ২০-২১টি ব্লাড ব্যাঙ্কের সমস্ত ধরনের খুঁটিনাটি কাজ অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিতেও দ্রুত হয়ে যাবে বলেই শোনা যাচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলেই, এবং ব্লাড ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ট্রায়াল সফল হলেই; জীবনশক্তি অ্যাপের সঙ্গে বিবিএমএস সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। লাইভ আপডেট পাওয়ার আর কোন সমস্যাই থাকবে। এমনই ধারণা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।