সাংবাদিক খুনের মামলায় জীবিত সাক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে সিবিআই! এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠল বিহারের আদালতে। এমনকী আদালতে ওই সাক্ষীর মৃত্যুর শংসাপত্রও পেশ করা হয়। আদালতে ‘মৃত’ সাক্ষী হাজির হলে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এরপরই সিবিআইকে শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছে মুজাফফরপুর আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে খুন হন সাংবাদিক রঞ্জন রাজদেও। তিনি ‘হিন্দুস্তান’ নামের একটি হিন্দি দৈনিকের কর্মী ছিলেন। সিবানা এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে খুন করে পাঁচ দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পর বিহারের সরকারের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সম্প্রতি সাংবাদিক খুনের মামলায় অন্যতম সাক্ষী বাদামি দেবীকে সমন পাঠিয়েছিল মুজফফরপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালত। যদিও ২৪ মে শুনানিতে বাদামি দেবীকে মৃত বলে দাবি করে সিবিআই। অন্যতম সাক্ষীর মৃত্যুর শংসাপত্রও জমা দেওয়া হয় আদালতে। কিন্তু শুক্রবার সেই ‘মৃত’ই সশরীরের আদালতে হাজির হন।
জীবিত থাকার প্রমাণ-সহ বিচারকদের সামনে হাজির হয়ে বাদামি দেবী বলেন, ‘আমি সিবানের কেসেরা তোলি এলাকার নিজের বাড়িতেই রয়েছি। খুনের মামলার সাক্ষী করা হলেও কোনও সিবিআই আধিকারিক আমার সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকী তারা আমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে। আমি খবরের কাগজ পড়ে তা জানতে পেরেছে। এটা সিবিআইয়ের যড়যন্ত্র!’ শুক্রবার বাদামি দেবীর এ হেন হলফনামার পরই বিশেষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে শো-কজ নোটিস দিয়েছে আদালত। বাদামি দেবীর আইনজীবী শরদ সিনহার অভিযোগ, ‘সিবিআইয়ের কাজ সন্দেহজনক। বোঝা যাচ্ছে অন্য সাক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশে এই কাজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।’