উপত্যকায় অবাধে চলছে হত্যালীলা। একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে ভূস্বর্গ। বারবারই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করা হচ্ছে। বাড়ি ঢুকে খুন করা হচ্ছে নিরীহ বাসিন্দাদের। এ হেন নিয়ে ত্রস্ত কেন্দ্র সরকার। শুক্রবার দিল্লীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফায় দফায় বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ঠিকই, তবে সমস্যা কতটা মিটবে সেই প্রশ্ন থেকেই গেল। কাশ্মীরে ‘টার্গেট কিলিং’য়ের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের অস্বস্তি ও ব্যর্থতা ঢাকতেই ব্যস্ত কেন্দ্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ ব্যবহার, আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি, একটি এলাকা নির্বাচিত করে সেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের রাখার ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে।
কেন্দ্র তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়ে জম্মুতে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনও ভাবেই সেটা চাইছে না। পণ্ডিতদের উপত্যকা ত্যাগের দায় নিতে চাইছে না তারা। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়নের সময় এমনই শরণার্থী শিবির হয়েছিল। তবে, এখন সেই শব্দটি প্রশাসনের তরফে ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এটা বোঝা গিয়েছে, যেভাবে চলতি বছরে সেখানে ২০টি এবং গত ২২ দিনের মধ্যে ন’টি টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তাতে কেন্দ্র সরকারের কপালে ভাঁজ পড়েছে। এদিকে, কাশ্মীরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে কেন্দ্র। তাহলে তাদের ব্যর্থতা মানুষের চোখে সে ভাবে পড়বে না বলেই কেন্দ্র বিষয়টিকে সামনে আনতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।