বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথম বার হুগলির সিঙ্গুরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকেরা জমি ফেরত পাওয়ার পর সিঙ্গুরে যে মন্দির গড়েছিলেন তিনি, সেই ‘সন্তোষী মাতা’র মন্দিরে গিয়েই পুজো দিলেন মমতা। এর পর সভামঞ্চ থেকে সিঙ্গুরে কৃষি ও শিল্পের এক সঙ্গে বিকাশের কথা বললেন তিনি। ঘোষণা করলেন, সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি (কৃষিভিত্তিক শিল্প) গড়ার কথা ভাবছেন তিনি। এরই পাশাপাশি, উত্তরপাড়ায় কোচ ফ্যাক্টরি আর ডানকুনিতে ফ্রেড করিডরের ঘোষণাও করলেন মমতা।
সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়া গ্রামে সন্তোষী মন্দিরে পুজো দেন মমতা। নিজের হাতে শিশুদের প্রসাদ বিতরণ করলেন তিনি। এর পরেই বাজেমেলিয়া হাসপাতালের মাঠে তৈরি অস্থায়ী সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই শীতলা মন্দিরে প্রায়ই আসেন তিনি। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় যখন অনশনে বসেছিলেন, তখন থেকেই তিনি সন্তোষীর ব্রত শুরু করেছিলেন। কৃষকেরা জমি ফিরে পেলে একটা ছোট্ট মন্দির বানানোর কথাও ভেবেছিলেন মমতা। সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বেচারাম মান্নাকে বলেছিলাম, আমার ছোট জায়গা লাগবে। মা আমার কথা রেখেছেন। কৃষি জমি আন্দোলনে জয় এসেছে। মানুষ জমি ফেরত পেয়েছে। আমি মানত করেছিলাম, এখানে মন্দির করব। তার পর ২০১৯ সালে এই মন্দির তৈরি হয়েছে।
এর পরেই সিঙ্গুর থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে কামারকুণ্ডুর রেল ওভারব্রিজ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই সিঙ্গুরের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আগামী দিনে কোটি কোটি টাকার শিল্প আসবে এই জমি আন্দোলনের মাটিতে।’ তাঁর সংযোজন, ডানকুনি থেকে বর্ধমান পর্যন্ত শিল্পের সম্ভাবনা তৈরির লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। ‘ডেডিকেটেড রেললাইন’ তৈরি করা হবে বলে জানান মমতা। তিনি আরও জানান, উড়িষ্যার মতো দিঘাতেও একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, ‘দিঘায় গিয়ে অনেকেই পুজো দিতে চান। তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘাতেও একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হবে’।