সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু রেলসেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কামারকুণ্ডু রেল ব্রিজ উদ্বোধন নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রেলের তরফে হুগলির জেলাশাসককে একটি চিঠি দেওয়া হয়। রেলের তরফে ওই চিঠিতে দাবি করা হয়, কামারকুন্ডু রেল ব্রিজ তৈরিতে রেল দিয়েছে ২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকার খরচ করেছে ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনে থাকলে, আমরাও চাই রেলমন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন হোক।
এদিন রেলব্রিজ উদ্বোধন করে মমতা বলেন, “আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন এখানে কিষাণ মাণ্ডি করে দিয়েছিলাম। তারকেশ্বর-কামারপুকুর রেল করে দিয়েছিলাম। তার মধ্যেই এই ব্রিজটা ছিল।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এই ব্রিজটা তৈরি করতে ৫৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৩৪ কোটি টাকা আর জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে সরসরি আক্রমণ না করেও বুঝিয়ে দিলেন, হুগলির জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে রেল যে তথ্য দিয়েছে তা ভুল। উল্লেখ্য, এদিন সিঙ্গুরে জনসভার আগে বাজেমেলিয়া সন্তোষী মাতার মন্দিরে পুজো দেন মমতা। সিঙ্গুরের সভায় দাঁড়িয়ে তিনি সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করার পাশাপাশি শিল্পের কথাও শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে, কোচ ফ্যাক্টরি হচ্ছে। এখানে কৃষি ও শিল্প পাশাপাশি চলবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিঃসন্দেহে আশার আলো নিয়ে এসেছে।