এবার প্রশাসনিক স্তরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রদবদল করল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফর শেষ করে ফেরার একদিনের মধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বড়সড় প্রশাসনিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কয়েকটি জেলায় উন্নয়মূলক নানা প্রকল্পের বাস্তবায়নে ধীর গতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৎপর হওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার নবান্ন এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত দিন চারেক আগে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে বকুনি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল মজুমদারকে পাঠানো হল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অতিরিক্ত সচিব পদে। পুরুলিয়ার জেলাশাসকের দায়িত্বভার এল হাওড়ার এডিএম রজত নন্দার কাঁধে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর জায়গায় আসছেন, খাদ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুনীল আগরওয়াল। উত্তরকন্যাতেও অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসককেও বদলি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে শরদ দ্বিবেদীকে। তিনি এতদিন মুর্শিদাবাদে জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। মুর্শিদাবাদের নতুন জেলাশাসক হচ্ছেন মালদহের জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলানো রাজর্ষি মিত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক উলগানাথনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্ব সামলানো সুমিত গুপ্তকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক করে আনা হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আয়েষা রানিকে। একসময় ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলেছিলেন আয়েষা। মালদহে জেলাশাসক করে পাঠানো হয়েছে নিতিন সিঙ্ঘানিয়াকে। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দফতরের সচিবও বদল এনেছে নবান্ন। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিব করা হয়েছে ছোটেন ডি লামাকে, মৎস দফতরের সচিব করা হয়েছে অরবিন্দ সিংকে। পর্যটন দফতরের সচিব করা হল সৌমিত্র মোহনকে। এই সামগ্রিক পরিবর্তনকে অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।