একুশের ভোটে ভরাডুবির পরই দলের রাজ্য সভাপতির পদ গিয়েছিল তাঁর। বাংলা থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির। এবার রাজ্য রাজনীতি থেকে আরও দূরত্ব সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বাংলার বদলে অন্য আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি দলের তরফে ‘সেন্সর’ও করা হয়েছে। যদিও দলের ফতোয়া কার্যত উড়িয়ে তিনি বাংলাতেই থাকছেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ। আর এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার পাঠানো চিঠির সত্যতা স্বীকার করে সেই চিঠির কোনও উত্তর দেবেন না বলেই ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন তিনি। অভিমানী দিলীপ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি কোনও চিঠির উত্তর দেব না। কেউ তো আমার কাছে জানতে চায়নি।’
গত বুধবার বিকেলে নাড্ডার চিঠির সত্যতা মেনে নেন দিলীপ ঘোষ। চিঠির প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার বিরুদ্ধে দিল্লীতে অভিযোগ তো নতুন কিছু নয়। এর আগে অনেকবারই নাড্ডাজির সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে। গত ২৫ মার্চ এই রকমই কিছু বিষয় জানার জন্য নাড্ডাজি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তখন তাঁকে আমার নিজের মোবাইল থেকে আমার বক্তব্যের অডিও ভিডিও শুনিয়েছিলাম।’ তাঁর সাফ কথা, ‘কেউ তো আমার কাছে কিছু জানতে চাননি। জানাতেও বলেননি। তাহলে আবার চিঠি লিখব কেন? কেন্দ্রের দিক থেকে তো কেউ জানতে চায়নি। তাহলে রাজ্য কেনই বা চাইবে।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই বিরুপ মনোভাবের ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। নাড্ডাজির কাছ থেকে চিঠি আসার পর তিনি যে তাঁর পুরনো অবস্থান থেকে সরেননি তা স্পষ্ট।