আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবার প্রকাশিত হতে চলেছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ন’টায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে তখন থেকেই অনলাইনে রেজাল্ট দেখা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। কখন, কোথায় এবং কীভাবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখা যাবে, জেনে নেওয়া যাক :
১. wbbse.wb.gov.in বা wbresults.nic.in সাইটে যেতে হবে।
২. ‘WBBSE class 10th Results’ লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
৩. নিজের রোল নম্বর নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে।
৪. ‘Submit’-এ ক্লিক করতে হবে।
৫. স্ক্রিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেখাবে।
৬. ভবিষ্যতের জন্য তা ডাউনলোড করে রাখা যাবে।
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর জেরে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এবার যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ৭ই মার্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল ১৬ই মার্চ। সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। চলেছিল দুপুর তিনটে পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতিতে একটি বেঞ্চে একজন পরীক্ষার্থীকে বসতে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার মাধ্যমিক মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। যা কার্যত রেকর্ড। এবার যেখানে ছাত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ ৫৯ হাজার, সেখানে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ২০২০ সালে (অফলাইনেই মাধ্যমিক হয়েছিল) অবশ্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। সেই বছর মোট ১০ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৮ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩৭ হাজারের মতো। ৫ লাখ ৭৬ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ। যা সেইসময় রেকর্ড ছিল। জেলাভিত্তিক পাশের হারে এগিয়ে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৫৯ শতাংশ)। তারপর ছিল যথাক্রমে পশ্চিম মেদিনীপুর (৯২.১৬ শতাংশ) এবং কলকাতা (৯১.০৭ শতাংশ)। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ছাত্র এবং ছাত্রীদের পাশের হার ছিল যথাক্রমে ৮৯.৮৭ শতাংশ এবং ৮৩.৪৭ শতাংশ। মূল্যায়নের মাধ্যমে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে পাশের হার ১০০ শতাংশ ছিল। দু’বছর আগে (২০২০ সাল) মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্র অরিত্র পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৪। দ্বিতীয় স্থানে ছিল দু’জন (প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩)। গত বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল ৭৯ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৭। তবে পরীক্ষা না হওয়ায় গত বছর প্রকাশ করা হয়নি কোনও মেধাতালিকা।