রাজ্যে হস্তশিল্পের প্রসার ও উন্নয়নে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি জিনিস, বাঙালির হাতে তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পের সামগ্রী পৌঁছাবে মানুষের হাতে হাতে। খাদি শিল্পের বিস্তারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। বাংলার নানান প্রান্তের শিল্পকে রাজ্যজুড়ে তথা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এমন পরিকল্পনা। সূত্রের খবর, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে খাদির শোরুম গড়ে তোলা হবে। মসলিন থেকে নলেন গুড়, প্রায় সবই ওই শোরুম গুলোতে রাখা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। যেসব এলাকায় প্রায় সারা বছরজুড়েই পর্যটক সমাগম হয়, সেই স্থানগুলিতেই শোরুম তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ও পর্যটন কেন্দ্রে সারা বছরই মানুষের ঢল লেগেই থাকে। সেই সব জায়গায় শোরুম থাকলে সহজেই বাংলার নিজস্ব রীতিতে তৈরি সামগ্রী পৌঁছে যাবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের হাতে।
পাশাপাশির, ইসকন মন্দিরের কাছেই খাদির শোরুম তৈরির প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে সূত্র। ইতিমধ্যেই পর্ষদের কর্তারা জায়গা স্থির করে ফেলেছেন। সূত্রের খবর, জয়রামবাটি, তারকেশ্বর, বেলুড়, বক্রেশ্বর, শিলিগুড়িসহ রাজ্যের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে খাদির শোরুম তৈরির প্রস্তুতি চলছে। শোরুমের জন্য নতুন জায়গার খোঁজও চলছে। উল্লেখ্য, পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থস্থানগুলোতেই দেশ বিদেশের বহু মানুষেরা বেড়াতে আসেন। ফলত সেখানে যদি খাদি শোরুম থাকে, তাহলে পর্যটকদের হাত ধরেই বাংলার শিল্প দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। শোরুমগুলিতে খাদির জামাকাপড়ের পাশাপাশি নলেন গুড়, হস্তশিল্পের নানান সামগ্রী থাকবে। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের শিল্প ছড়িয়ে পড়বে, অন্যদিকে শিল্পীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভের মুখ দেখবেন। স্বভাবতই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।