বুধবারই ‘ন্যাশনাল হেরল্ড’ মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। আর তা নিয়েই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে সরব কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা। তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদম্বরমও। তিনি বুধবার টুইট করে জানিয়েছেন, ‘কোনও অর্থ ছাড়া আর্থিক তছরুপের ঘটনা অনেকটা পার্স (টাকার ব্যাগ) না থাকলেও সেটা ছিনতাই করার অভিযোগের মতো।’
সোনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের সঙ্গে উপমা টেনে তিনি বলেছেন, ‘এটা অনেকটা এরকম যে, আপনাকে একটি অ-অনুমোদিত পুলে সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছে যে পুলে কোনও জল নেই।’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এরকম আরও অনেক উদাহরণ চোখের সামনে রয়েছে। এই উদাহরণগুলো একটির থেকে অপরটি আরও বেশি অযৌক্তিক ও অদ্ভূত।
ইডির নোটিসে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি করেছে। এক দল আরেক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের খেলায় মেতেছে। কংগ্রেসের তরফে গতকালই বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি’। এমনকী গতকালই এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ও অভিষেক মনু সিংভি।
সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘মোদী সরকারের জানা উচিত, এই ধরনের মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে তাদের কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র সফল হবে না। স্বাধীনতা আন্দোলনের কণ্ঠ ন্যাশনাল হেরাল্ড বন্ধও করতে পারবে না ইডি, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে ভয়ও দেখাতে পারবে না। কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্ভীক এবং তদন্তকারী সংস্থার সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আমরা এই ধরনের কৌশলে ভয় পাই না, আমরা মাথা ঝোঁকাবো না। আমরা আইনি পথে, সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালাব।’
তিনি আরও জানিয়েছেন. ২০১৫ সালে এই মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল ইডি। কিন্তু সংস্থায় নতুন আধিকারিকদের নিয়ে আসা হয়েছে এই বিষয়টিকে পুনরায় জলঘোলা করার জন্য। অন্যদিকে, সিংভি বলেন, ‘বন্ধুরা, এটা একটা বড় রোগের অংশ। এই রোগ শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলকে গ্রাস করবে।’