একুশের ভোটে ভরাডুবির পরই দলের রাজ্য সভাপতির পদ গিয়েছিল তাঁর। বাংলা থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির। এবার রাজ্য রাজনীতি থেকে আরও দূরত্ব সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। বাংলার বদলে অন্য আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। যদিও দলের ফতোয়া কার্যত উড়িয়ে তিনি বাংলাতেই থাকছেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দিলীপ। বুধবারও ইকো পার্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, ‘কীসের সেন্সর? আমি দলের চিঠি পাইনি। মিডিয়া আমাকে একটা চিঠি দেখিয়েছে।’
দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবেন না দল বিড়ম্বনায় পড়ছে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না এ ধরনের চিঠি মিডিয়াতে কী করে আসে। এটা মিডিয়ার ব্যাপার না। সংগঠনের ব্যাপার। চিন্তার ব্যাপার আছে এর মধ্যে, আমার কিছু করার নেই। যারা এ ধরনের খবর প্রচার করছেন, তারা উত্তর দিতে পারবেন। আমি এখনও চিঠি পাইনি। এটা পার্টির ব্যাপার, যারা চিঠি লিখেছেন তারা জানেন। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে খবর দেওয়া হবে কিনা জানিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ দিয়েছেন, সত্যি সত্যি তারা চিঠি লিখেছেন তো? আপনারা জানেন এর আগে একাধিক চিঠি ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়াতে আপনারা দেখেছেন অনেকে। আবার আমাকে বিস্তারিত বলতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পাল্টে যাচ্ছিল, চিঠিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি এ-ও বলেন, সংযত থাকার বিষয়ে বলা হয়েছে। আমি চিরদিনই আছি। আমি প্রয়োজনের বাইরে বলি না। আমার বিরোধী পার্টি তার ভুলভ্রান্তি অকর্মণ্য আওয়াজ তুলি। লোক আমাকে বিরোধী বিরোধীপক্ষের নেতা বানিয়েছে। আমি জীবনে কোনদিন রাস্তা আটকাইনি আর আমি নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করেছি। সেই রাস্তাতেই চলব।