এবার ফের মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতার আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত ভিডিয়ো। যদিও, ওই নেতার অভিযোগ তাঁকে বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। আর এর মূলে রয়েছেন খোদ জেলা সভাপতি।
জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সহ সভাপতি বর্তমানে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মুখপাত্র অলোক চক্রবর্তী। অভিযোগ, জলপাইগুড়ি শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার পরেশনাথ সাহার কাছ থেকে ব্যবসা করার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। অভিযোগ সেই টাকা তিনি ফেরত দিচ্ছিলেন না। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবার টাকা চাওয়ার পর শেষমেশ তিনি ওই চিকিৎসককে একটি পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। যেই চেকটি জমা দেওয়ার পর বাউন্স হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তিনি উকিলের দারস্থ হলে উকিলবাবু আদলতের দারস্থ হবার উপদেশ দিলে চিকিৎসক আদালত যান। বিষয়টি বর্তমানে আদলতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এরপর অর্থাৎ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যাচ্ছে ডাক্তারবাবু এই টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় অভিযোগ করছেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে অলোক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘ওই পরিবারের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক। আমি পর্যটন ব্যবসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা চিকিৎসকের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলাম। কথা ছিল ব্যবসা করে আমি ৫ লক্ষ টাকা শোধ করবো। কিন্তু ব্যবসায় মন্দা, বোনের বিয়ে, কোভিড ইত্যাদি ধারাবাহিক ভাবে আসায় আমি টাকা শোধ দিতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে ডাক্তারবাবু আদালতের দারস্থ হন। আমি এই টাকা অবশ্যই তাঁকে শোধ করে দেব। তা নিয়ে আমার সঙ্গে ডাক্তারবাবুর কথা হয়েছে।’
এরপরেই তিনি বলেন, ‘ আমি যেহেতু জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর একনায়কতন্ত্রর বিরোধিতা করেছি। আর যাঁরা আমার মতো বিরোধী, তাঁরা আমাকে তাঁদের মুখপাত্র বানিয়েছেন। আমরা যখন কলকাতায় গিয়ে বাপী গোস্বামীর যাবতীয় অনিয়ম রাজ্য নেতাদের জানাবো তখন এই খবর জানতে পেরে এরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ডাক্তারবাবুকে দিয়ে একপ্রকার জোর করিয়ে এই ভিডিয়ো করে আমার বদনাম করার জন্য বাজারে ছেড়েছে।’ পরেশ নাথ সাহা বলেন, ‘ব্যবসার জন্য অলোক চক্রবর্তী আমার স্ত্রীর কাছ থেকে ব্যবসার জন্য টাকা চান। আমি সেই মতো পাঁচ লক্ষ টাকা দিই। এরপর চেকটি আমি ব্যাঙ্কে নিয়ে যাই। চেক বাউন্স হয়ে চলে আসে। তখন আমি জলপাইগুড়ির একজন উকিলের কাছে যাই। উনি পরামর্শ দেন এফআইআর করার জন্য।’