মঙ্গলবার ভোরবেলা দিল্লীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চেক আপ করিয়ে বরেলির গ্রামে ফিরছিল একই পরিবারের ছয় সদস্য। ঘটনার সময়ে সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক। তখনই উল্টোদিকে থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি অ্যাম্বুলেন্সের। গুরুতর ভাবে আহত হন অ্যাম্বুলেসের সাত জন যাত্রী। স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। ভয়াবহ ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশে। চাঞ্চল্যকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিল অ্যাম্বুলেন্স চালকের। তাতেই বিপত্তি ঘটে। এই দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দপ্তর থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “বরেলিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা জেনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের আত্মার শান্তির উদ্দেশে প্রার্থনা করছেন তিনি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসপি রোহিত সিং সজবাণ জানিয়েছেন, গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়েই ডিভাইডার পার করে উলটো দিক থেকে আসা মালবাহী মিনি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে অ্যাম্বুলেন্সটির। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় মানুষ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা। মৃত খুরশিদের স্ত্রী, পুত্র, বোন, ভাগ্নে এবং শ্যালক মারা গিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। মৃত্যু হয়েছে গাড়ির চালকেরও।