ভোটের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কেউ অন্য দলে গিয়েছিলেন। কেউ নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ভোটে জয়ের পর খড়গপুর পুরসভার তিন কাউন্সিলর আবার ঘাসফুলে ফিরে এলেন। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন এক বিজেপি কাউন্সিলর। খগড়পুর শহর তৃণমূল কার্যালয়ে একটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ওই চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলেন। কিছুদিন আগে সিপিআইয়ের এক কাউন্সিলর ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে খড়গপুর পুরসভায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫।
চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। তার মধ্যে একটি হল খড়গপুর পুরসভা। ২ মার্চ ফল প্রকাশ হয়। খড়গপুর পুরসভার ৩৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে কুড়িটি আসনে। তারপর সিপিআই কাউন্সিলর আর আজ আরও চার কাউন্সিলর ঘাসফুলে যোগ দিলেন। ওই চার জন হলেন-৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর ফিদা হুসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর মমতা মুরলি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন প্রধান এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মুকেশ হামানি। এদিকে, একজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যাওয়ায় পুরসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা কমে হল ৫। কংগ্রেসের দু’জন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পুরসভায় তাদের আসন সংখ্যা হল ৪।
আজ চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপিকে তোপ দাগলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘খড়গপুরে আরও বড় যোগদান হবে। সেদিন দিলীপ ঘোষ বুঝতে পারবেন কত ধানে কত চাল’। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আশা করি ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর মুখ থাকবে না দিলীপ ঘোষের। যদি দাঁড়ান খড়গপুর শহরে ৪০ হাজার ভোটে পরাস্ত করব’।