গত বছর ত্রিপুরার এক পথসভায় ‘জয় শ্রীরাম’স্লোগানের বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত করে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। তার ফলে রামরাজ্যে অপমানিত হয়েছেন সীতা। তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়েছিল। আর সীতার পাতালে প্রবেশ কার্যত আত্মহননের শামিল।’ এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। একাধিক মামলা দায়ের হয় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। এবার সেই মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন তিনি। তিনটি মামলাতেই ত্রিপুরা আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সোমবার। এদিন আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল।
অমরপুর আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা দাস তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটরের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকা বন্ডে তিনি জামিন পেলেন। সোমবার ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমরপুর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন কুণাল। তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই মামলার মধ্যে সারবত্তা নেই। রাজনৈতিক চক্রান্ত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারি আইনজীবীর সওয়াল আদালতে গ্রাহ্য হয়নি।’ পরে কুণাল নিজেও বলেন, ‘আমি তো সীতাকে নিয়ে কোনও অপমানজনক মন্তব্য করিনি। ওদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে ঔদ্ধত্য, হিংসা প্রকাশ পায়। আমি তাই বলেছিলাম, শ্রীরাম তো কখনও হিংসার প্রতিভূ হতে পারেনন না। তাঁর নামে তোলা স্লোগানে কেন এত হিংসা? তাহলে যখন সীতার পাতাল প্রবেশ হচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলেন সব?’
