কেটে গেছে ছয় ছয়টি বছর। বিগত ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর, সন্ধ্যা ৮টা। দিনটার কথা সহজে ভুলবে না ভারতবাসী। সকলকে চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই সেদিন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি ছিল, নোট বাতিলের ফলে দেশে কমবে জাল নোটের সংখ্যা। তবে সুফল কিছুই মেলেনি। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে উল্টো কথা। হয়েছে হিতে বিপরীত। নোট বাতিলের পর প্রতিবছরই নিয়ম করে বাড়ছে জাল নোটের পরিমাণ। গত এক বছরে যা বেড়েছে রেকর্ড গতিতে। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে সেকথা। আর এই অস্ত্রেই মোদীকে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও-ব্রায়েন টুইটে করেন, “নমস্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোট বাতিলের কথা মনে আছে? মনে আছে কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( আপনার বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন? মনে আছে আপনি বলেছিলেন কীভাবে নোট বাতিলের ফলে জাল নোটের পরিমাণ কমে যাবে। এই দেখুন রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান কী বলছে?” এরপর তথ্যসমৃদ্ধ একটি গ্রাফিক্স নিজের টুইটে যোগ করেছেন ডেরেক। তৃণমূল সাংসদের দাবি, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জাল ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১০১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে ৫০০ টাকার জাল নোট দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। একইভাবে গত এক বছরে ২ হাজার টাকার জাল নোটের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৫৪.৬ শতাংশ। এই সব তথ্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাওয়া, বলা হয়েছে টুইটে। উল্লেখ্য,শুধু ৫০০ আর ২০০০ নয়। জাল নোট বেড়েছে অন্যান্য টাকার মূল্যেরও। ২০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১১.৭ শতাংশ। ১০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.৪ শতাংশ। ২০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ। আর জাল নোট বৃদ্ধির এই তথ্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল।