এক মরসুমে সব থেকে বেশি ছয় খাওয়ার লজ্জার রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। কেন এই অবস্থা সিরাজের? দলের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট মাইক হেসন মনে করছেন, সিরাজের আত্মবিশ্বাসে খামতি ছিল। হেসন বলেছেন, ‘‘সিরাজ দুর্দান্ত বোলার। আইপিএলে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি মহম্মদ সিরাজকে। তাঁকে নিলামের আগে ধরে রেখেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই প্রতিযোগিতায় ওর পারফরম্যান্স ভাল হয়নি। নতুন বলে আমাদের উইকেট দিতে পারেনি। বল তেমন সুইং-ও করাতে পারেনি। আসলে ওর আত্মবিশ্বাসে কিছুটা খামতি ছিল। কিন্তু আমরা জানি সিরাজ শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসবে।’’ সিরাজই ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা। কিছু দিন আগেও তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু চলতি আইপিএলটা ভুলতে চাইবেন সিরাজ। প্রায় সব ম্যাচেই তাঁর হতাশা দেখা গিয়েছে। নিজে যেমন হতাশ হয়েছেন, তেমনই হতাশ করেছেন দলকে, ভক্তদের। এ বারের আইপিএলে ১৫টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৯টি উইকেট পেয়েছেন সিরাজ। ওভার প্রতি ১০ রানেরও বেশি দিয়েছেন। প্রতিযোগিতার টানা ব্যর্থতার জন্যই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সিরাজকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। প্লে-অফ পর্বে প্রথম একাদশে ফিরলেও দু’টি ম্যাচে ৬ ওভার বল করে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন। দিয়েছেন ৭৫ রান। অর্থাৎ, গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বেই ওভার প্রতি দিয়েছেন সাড়ে ১২ রান। ছন্দ হারালেও সিরাজের উপর ভরসা হারাচ্ছেন না।