কয়লা পাচার মামলায় শুভেন্দুকে তলব করল সিবিআই। সিবিআই সওকত মোল্লাকে কেন ডেকেছে, তার জবাব দিতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী।’ তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সব রকম ভাবে তিনি সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন। কেন তাঁকে তলব করা হল, সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে সওকত মোল্লা বলেন, “এটা আমাকে জিজ্ঞেস না করে, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে জানতে চাইলে সব বুঝতে পারবেন। সিবিআই কখন, কাকে ডাকবে, কী করবে, তার আগে শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কার বলে দেন। কখনও মাইকে বলেন, কখনও মিটিংয়ে বলেন।” সওকত মোল্লা আরও অভিযোগ করেন, “এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি। এখানে কোনও কয়লাও তৈরি হয় না, কোনও ঘুঁটেও তৈরি হয় না। এখানে আমরা স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করি। আমরা রাজনৈতিকভাবে কাজ করি। আমাদের কোনও দুর্বলতা নেই। তদন্তকারী সংস্থা আমাদের ডাকতেই পারে, এটা তাদের কর্তব্য। আমরা নিশ্চিতভাবে তাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।” রাজ্যের বিরোধী দলকে পাল্টা একহাত নিয়ে বিধায়ক বলেন, “মনে হয় জীবনতলায় কিছু বিজেপি নেতার অঙ্গুলিহেলনে এইসব হচ্ছে। তারা এখন ভাবছে, জীবনতলায় হয়ত কয়লার পাহাড় বা কারখানা তৈরি হয়েছে। সেই কারণে হয়ত, তাদের অঙ্গুলিহেলনে এই সব হচ্ছে।”
এই বেআইনিভাবে পাচার হওয়া কয়লা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এলে, তা আটকানোর কোনও চেষ্টা বিধায়ক করতেন কি না, সেক্ষেত্রে তাঁর কী ভূমিকা ছিল কানা এই বিষয়ে জেলার বিজেপি নেতা সুনীত দাস বলেন, “গত পরশু ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে সিবিআই তলব করে। এই তলবের বিষয়ে নাকি শুভেন্দু অধিকারীর হাত আছে বলে তিনি দাবি করেছেন। এটি সর্বৈব মিথ্যা। চুরি করার সময় এদের মনে থাকে না। যখন বেআইনি কয়লা বিক্রি করেছে, তখন মনে থাকে না। সওকত মোল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট। সিবিআই তদন্ত করলে, সব বেরিয়ে আসবে। একদিন না একদিন গারদের পিছনে যাবেনই।” উল্লেখ্য, সিবিআই গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আসানসোল সংলগ্ন এলাকা থেকে যে বেআইনি কয়লা পাচার হত, তা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ কিছু ইটভাটায় যেত। সেই সব কয়লা লরি করে পাঠানো হত ইটভাটাগুলিতে।