গেরুয়া শিবির নয়, শেষ পর্যন্ত রথের রশি রইল আদালতের হাতেই। গতকাল, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবারও ধাক্কা খেল বিজেপির রথ। যার ফলে হতাশার পাঁকেই আরও বেশি করে ডুবে গেল পদ্ম।
রথের অনুমতি নিতে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আদৌ কি ঠিক ছিল? কেন প্ল্যান-বি কিংবা বিকল্প পরিকল্পনা ছকে রাখা হয়নি? এবার এমন সব অপ্রিয় প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে ৬ মুরলীধর সেন লেনে। একইসঙ্গে বইতে শুরু করেছে অন্তর্কলহের হাওয়া। কারণ রথ নিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়া রাজ্য বিজেপি নেতারা এখন তিন-চারটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পাশাপাশি খোদ সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের দূরদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কয়েকজন।
কারণ কয়েক মাস আগে বঙ্গ সফরে এসে রাজ্যজুড়ে গেরুয়া হাওয়া তোলার লক্ষ্যেই এই রথযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অমিত। বিজেপির কয়েকজন রাজ্য নেতার দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে রথ বার করলে এ রাজ্যের প্রশাসন যে মিষ্টির থালা হাতে এগিয়ে আসবে না, তা বুঝতে ভুল করেছেন দলের সভাপতি। ‘সারথি’র এমন দূরদর্শিতার অভাবের ফলেই দলকে আজ রথ নিয়ে হাসির খোরাক হতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ ওই নেতাদের।
একদিকে, চাকা গড়ানোর আগেই বারবার রথের থমকে যাওয়া। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে গোহারা হার। এই দুই কারণে কর্মী-সমর্থকদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা কমতে শুরু করেছে রাজ্য নেতাদের। তাঁদেরই একজনের কথায়, দিল্লী থেকে কয়েকজন উড়ে আসছেন। যা মনে হচ্ছে তেমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যার খেসারত চোকাতে হচ্ছে আমাদের। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।