রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। তারপর অর্থাৎ তার পরবর্তী সময় কর্মী সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নেত্রীর কর্মী সভায় জমায়েতের লক্ষ্য, ‘লক্ষাধিক’। মুখ্যমন্ত্রী আসবেন জেনে বহু মানুষ ভিড় করতে বাধ্য। সেই লক্ষ্য পূরণেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সবাই। জেলা চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, জেলায় প্রথম কর্মী সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কর্মীসভায় অন্তত এক লক্ষ কর্মীর জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। ৩১ মে-র কর্মীসভায় কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাই বান্দোয়ান থেকে বাঘমুণ্ডি, ঝালদা থেকে নিতুড়িয়া—ছুটে বেড়াচ্ছেন খোদ জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া-সহ জেলা স্তরের নেতা-নেত্রীরা। অতীতে বিভিন্ন সময়ে দলের রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় কর্মিসভা করেছেন। কলকাতায় একুশের শহিদ সমাবেশ বা দলের ব্রিগেড কর্মসূচি ঘিরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সভাস্থল ভরানোর লক্ষ্যে খোদ জেলা সভাপতি কবে এক ব্লক থেকে অন্য ব্লকে ছুটে বেড়িয়েছেন, মনে করতে পারছেন না দলীয় কর্মীদের বড় অংশ। এক কর্মীর কথায়, “খোদ নেত্রীর সামনে পরীক্ষা। নেতাদের চাপে থাকা তাই স্বাভাবিক।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার ২০টি ব্লক ও তিনটি পুর-এলাকার জন্য প্রস্তুতিসভার সূচি তৈরি করে কোন কোন নেতা, কোন সভায় হাজির থাকবেন, তা দলের বিভিন্ন ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’-এ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের অন্দরে কোথাও একাধিক ‘গোষ্ঠী’ থাকলেও এবং তাদের মধ্যে ‘দূরত্ব’ থাকলেও সভাগুলিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের সহাবস্থান দেখা যাচ্ছে বলে দাবি। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “নিজেদের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও, প্রস্তুতিসভায় সকলে হাসিমুখেই পাশাপাশি বসছেন।” জেলা সভাপতির কথায়, “নেত্রীর সভার আগে প্রস্তুতিসভাগুলি থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের মতামত যেমন শোনা হচ্ছে, তেমন তাঁদের মনোভাবও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সকলেই যে নেত্রীর কথা শুনতে মুখিয়ে রয়েছেন, তা স্পষ্ট। লক্ষাধিক কর্মীতে ময়দান উপচে পড়বে।” জেলা সভাপতির পাশাপাশি, শান্তিরাম মাহাতো, স্বপন বেলথরিয়া, সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্ধ্যারানি টুডু, গুরুপদ টুডু থেকে বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন, সুশান্ত মাহাতো বা শাখা সংগঠনের সব নেতারা ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছেন।