ন্যাশনাল গেমসেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী বন্ধু তিরকে-র বাড়ি সহ মোট ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। অভিযোগ উঠেছে, ২০১১ সালে রাঁচীতেই অনুষ্ঠিত ৩৪ তম ন্যাশনাল গেমস উপলক্ষে যে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছিল, তাতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তৎকালীন বিজেপি শাসিত অর্জুন মুণ্ডার সরকারের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে জনগণের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে।
তিরকে ছাড়াও কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্টের নামও এই দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। সিবিআই আইনজীবী তথা প্রাক্তন সাংসদ আরকে আনন্দের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে তিনি ন্যাশনাল গেমসের অর্গানাইজিং কমিটির ওয়ার্কিং চেয়ারম্যান ছিলেন। রাঁচী ছাড়াও ধানবাদ, বোকারো, গোড্ডায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বিহার ও দিল্লিতেও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত এপ্রিল মাসেই ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সিবিআই মামলা দায়ের করে আর কে আনন্দ, তৎকালীন ক্রীড়া ডিরেক্টর পিসি মিশ্র, গেমস কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি এস এম হাশমি, ঝাড়খণ্ড অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার মধুকান্ত পাঠক সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কমিটি যে ক্রীড়া সামগ্রী কেনা হয়েছিল, তাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক তছরুপ হয়েছিল। মেগা স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরিতেও আর্থিক তছরুপ হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।