গত বছর অক্টোবর মাসে মাদকচক্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মাদক কাণ্ডে জড়িয়ে প্রায় ২৬ দিন হাজতবাসও করেছিলেন তিনি। ছেলের এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শাহরুখ খান। সমস্ত শুটিং বাতিল করে ছেলেকে জামিন পাওয়ানোর জন্যই শত চেষ্টা করছিলেন শাহরুখ। সেই নিয়ে হই হই পড়েছিল সবার মধ্যে। তবে অবশেষে সেই অপবাদ ঘুচল। ফাইনাল চার্জশিটে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো৷
জানা গিয়েছে, আরিয়ান- সহ মোট ছ’জনকে এই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যা খান পরিবারের জন্য সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মামলায় ১৪ জনের নাম চার্জশিটে রেখেছে এনসিবি। তারা বলেছে, আরিয়ান-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁরা মাদক নিচ্ছিলেন বা কাউকে দিচ্ছিলেন।
টিমের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্য প্রমাণ নেই যার থেকে প্রমাণ হতে পারে যে কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। ফলে এনসিবি যে অভিযোগ এনেছিল শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে তা একেবারেই ভুল। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এস আই টি তাদের তদন্ত রিপোর্টে জানায়, আরিয়ান খানের কাছে কখনও মাদক ছিলই না। এমনকি তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করারও কোনও কারণ ছিল না। আরিয়ানের হোয়াটস আ্যপ চ্যাট থেকেও এমন কিছুই পাওয়া যায়নি, যার ভিত্তিতে দাবি করা যায় যে কোনও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে।
সূত্রের খবর ২৯ মে-র শুনানিতে আরিয়ানদের মুক্তি হবে। ঘটনা হল, এই মামলায় শাহরুখের ছেলের গ্রেফতারি নিয়ে যখন রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল তখন এনসিবি-র সদর দফতর আর মুম্বইয়ের হাতে বিষয়টি রাখেনি। দিল্লী থেকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গড়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তার মাথায় ছিলেন সঞ্জয় কুমার নামের অফিসার। এত মাস পর চার্জশিট দেওয়া হল, আরিয়ানদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন বা পাচারের কোনও অভিযোগই নেই।