এ যেন মগের মুলুক! আইএএস অফিসার কুকুর নিয়ে হাঁটতে আসেন। তাই তাঁর আসার আগেই খেলাধুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামে! হ্যাঁ, গত কয়েকমাস ধরে এমনই অভিযোগ করে আসছিলেন দিল্লীর অ্যাথলেট ও কোচেরা। তাঁদের অভিযোগ, আগে আমরা সন্ধ্যা আটটা-সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ করাতাম। কিন্তু এখন আমাদের বলা হচ্ছে, সাতটার মধ্যে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারণ সন্ধ্যার পরে দিল্লীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (রাজস্ব) সঞ্জীব খিরওয়ার কুকুর নিয়ে স্টেডিয়ামে হাঁটতে আসেন। তাই আগে থেকে সেখানে খেলাধুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
যদিও ১৯৯৪ সালের ব্যাচের আইএএস খিরওয়ারের দাবি, ‘এই অভিযোগ অমূলক। আমি মাঝে মাঝে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরোই বটে, কিন্তু তার জন্য অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণে কোনও সমস্যা হয়নি।’ তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের সাংবাদিক পরপর তিনদিন সন্ধ্যায় ওই স্টেডিয়ামে যান। তিনি লক্ষ্য করেন, সাড়ে ছ’টা বাজতেই স্টেডিয়ামের গার্ডরা হুইসল বাজাচ্ছেন। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে যাতে স্টেডিয়াম ফাঁকা হয়ে যায়, সেই চেষ্টা করছেন তাঁরা। স্টেডিয়ামের প্রশাসক অজিত চৌধুরির সাফাই সাধারণত বিকাল চারটে থেকে ছ’টা পর্যন্ত স্টেডিয়ামে খেলাধুলো করা যায়, গ্রীষ্মের দিনে আমরা সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত স্টেডিয়াম খোলা রাখি।
