বড় অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঋষভ পন্থ। ঘড়ি, গয়না কিনতে গিয়ে খুইয়েছেন দেড় কোটি। তাঁকে গয়না এবং ঘড়ি দেওয়ার নাম করে বোকা বানিয়ে টাকা আদায় করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি প্রায় এক বছর আগের হলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীকেও একই ভাবে প্রতারিত করায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পন্থের আইনজীবী একলব্য দ্বিবেদী সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ করেছেন। আইপিএল থেকে বিদায় নিলেও তাঁকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই এখনও। ওই বাইশ গজের বাইরে কিছু ঘটনার কারণে এখনও নানা রকম জল্পনা কল্পনা অব্যহত আছে।
জানা গিয়েছে, দিল্লী ক্যাপিটালস অধিনায়কের ১.৬৩ কোটি টাকা প্রতারণ করে নেওয়া হয়েছে। প্রতারকের নাম মৃনাঙ্ক সিংহ, যিনি নিজেও হরিয়ানার ক্রিকেটার। আপাতত অন্য এক মামলায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এক ব্যবসায়ীকে প্রতারিত করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অখ্যাত এই ক্রিকেটারের স্বভাবই ছিল নাকি সতীর্থ ও বন্ধুদের দামী ব্র্যান্ডেড গয়না, ঘড়ি, ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও নানা ধরনের ই-সরঞ্জাম কম দামে দেওয়ার প্রলোভন দেখানোর। পন্থ অবশ্য গতবছরই মৃনাঙ্কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। যা প্রকাশ্যে আসে একটি চেক বাউন্স করার পরে।
বেশ কয়েক জন তারকার নাম করে মৃনাঙ্ক প্রলোভিত করেছিলেন পন্থকেও। ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের কাছে নানা মহার্ঘ জিনিস তিনি চাইতেন অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে। ফাঁদে পা দিয়ে পন্থ নিজের সংগ্রহে থাকা ফ্র্যাঙ্ক মুলার ভ্যানগার্ড সিরিজ় ও রিচার্ড ম্যুলে ঘড়ি হরিয়ানার অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে দিয়ে দেন। সঙ্গে বেশ কিছু জিনিস কিনতেও পন্থ নাকি অনকে টাকা প্রতারককে দিয়েছিলেন।
বড় অঙ্কের অর্থ তিনি ট্রান্সফার করে দেন মৃণাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তারপরই ঘটে এই বিপত্তি। মৃণাঙ্ক জানান, টাকা তিনি ফিরিয়ে দেবেন। রফা হয় ১.৬৩ কোটি টাকার। মৃণাঙ্ক একটি চেকও দেন। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সেই চেকটি গ্রাহ্য হয়নি। দ্বিবেদী জানান, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে এই চেক তাঁর মক্কেলকে দেওয়া হয়েছিল। এখন সুদ-সহ টাকার অঙ্ক বেড়ে ১.৮০ বা ১.৯০ কোটি হয়েছে। এবং তারপরই প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন পন্থ।