বহরে বাড়ছে বৈষম্য! দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গেলে বোধহয় এটাই সবার আগে বলা উচিত। দেশের ১৫ শতাংশ নাগরিকের রোজগার ৫ হাজার টাকার কম। অন্যদিকে, জাতীয় আয়ের ২২ শতাংশের দখল দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের হাতে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ে ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে অর্থনীতিবিদদের। ক্রমবর্ধমান গরিবি প্রভাব ফেলছে সাধারণ মানুষের জীবনে। কমছে চাকরি, কমছে রোজগার। ভারত কি তবে ক্রমশ আর্থিক মন্দার দিকে হাঁটতে চলেছে?
বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্ট ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতের অবস্থা বেশ খারাপ। আর্থিকভাবে দুর্বল এবং প্রবল বৈষম্যমূলক! ভারতের অর্থনীতিকে বোধহয় এভাবেই ব্যখ্যা কতা যায়৷ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আর্থিক রোজগারের ভিত্তিতে দেশের সেরা ১০ শতাংশের হাতে রয়েছে দেশের ৫৭ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে, দেশের একদম তলানিতে থাকা ৫০ শতাংশের হাতে রয়েছে জাতীয় আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ। এছাড়া ১৫ শতাংশের আয় ৫০০০ টাকার কম। দিন কয়েক আগে একটি নয়া সমীক্ষা সামনে এসেছিল। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছিল, দেশে যাঁদের রোজগার ২৫ হাজার টাকার সমান অথবা বার্ষিক রোজগার ৩ লাখ টাকার সমান, তাঁরা মোট আয়ের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দেশের সেরা ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
দেশের সবথেকে ক্রিমি অংশ অর্থাৎ যাঁদের হাতে রোজগার সবথেকে বেশি, সেই অংশটার হাতে রয়েছে জাতীয় আয়ের ৫-৭ শতাংশ।এটি প্রদীপের উপরের অংশ৷ প্রদীপের নিচের দিকের অংশটির অবস্থা তথৈবচ। হাতে নেই কাজ। রোজগার ক্রমশ কমছে দেশের সাধারণ মানুষের।