রবিবার নয়, বৃহস্পতিবারই মালদা থেকে আমসত্ত্ব নিয়ে আসা সায়ান্তিকা দাসের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু দেখা করা নয়, ছোট্ট সায়ন্তিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় একঘণ্টা আলাপচারিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে জেলার আমসত্ত্ব তুলে দেয় খুদে। যা পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী।
সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস জানান, ছোট্ট সায়ন্তিকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। খুদে জবাব দেয়, ‘বড় হয়ে আইএএস অফিসার হতে চাই’। খুদের এই স্বপ্ন পূরণে যাতে কোনও বাধা না আসে, সেদিকে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। সায়ন্তিকার পড়াশোনায় কোনও সমস্যা হলে তাঁকে যেন অবিলম্বে জানানো হয় বলে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস পেয়ে অভিভূত সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস ও মা উমা দাস। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আবেগজড়ানো কণ্ঠে প্রদীপবাবু বলে ওঠেন, ‘পুরোটাই স্বপ্নের মতো লাগছে। এখনও ঘোর কাটছে না’। আর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আমসত্ত্ব তুলে দিয়ে, পড়াশোনা চালানোর ব্যাপারে তাঁর আশ্বাস পেয়ে আপ্লুত ছোট্ট সায়ন্তিকাও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তিকা দাসকে কলকাতায় নিয়ে আসার জন্য মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রের কাছে ফোন যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জরুরি ভিত্তিতে সায়ন্তিকা দাস ও তার পরিবারকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। খোদ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র সায়ন্তিকা দাসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সায়ন্তিকা ও তার পরিবারের জন্য বুধবার রাতের মালদা-শিয়ালদহ গামী ট্রেন গৌড় এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ট্রেনে চড়ে বৃহস্পতিবারই শিয়ালদা নামে সায়ন্তিকা ও তার পরিবার। তবে ছোট্ট সায়ন্তিকা সাইকেল চালিয়েই আমসত্ত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার জেদে অনড় ছিল। তাই শিয়ালদা থেকেই সাইকেল চালিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছয় মালদার ইংরেজবাজার শহরের এই খুদে।