গত ১৪ মে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে বিপ্লব দেব আচমকাই ইস্তফা দেওয়ার পর দ্রুত পরিষদীয় দলের বৈঠক করে মানিক সাহাকে নয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবিরে। তারপর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এখন আগরতলা থেকে আমবাসা, ধর্মনগর থেকে বিলোনিয়া— আলোচনা একটাই। মুখ্যমন্ত্রী আসলে কে? বিপ্লব দেব? নাকি মানিক সাহা? কারণ এই ১০ দিনে আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে দুধ সাদা সচিবালয় ছেড়ে খুব একটা বেরোননি নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক। বেরোলেও পার্টি অফিস আর কোনও কর্মীর বাড়িতে কালীপুজোয় যোগ দেওয়া ভিন্ন তৎপরতা দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার জেলায় জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পার্টি কর্মসূচি তো বটেই। প্রশাসনিক কর্মসূচিতেও বিপ্লব যাচ্ছেন। বক্তৃতা করছেন। বিরোধীরা এও অভিযোগ করছে, একজন সাধারণ বিধায়ক হয়ে বিপ্লব দেব এখনও ডিএম, এসপি-দের নির্দেশ দিচ্ছেন। কী ভাবে? ফলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, আসলে মুখ্যমন্ত্রী কে? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির মধ্যেও ঊষ্মা রয়েছে। আগরতলার পুরনো মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় এক মহিলানেত্রী ঘনিষ্ঠবৃত্তে বলেছেন, বিপ্লব দেব চেয়ার ছেড়েছেন বটে। কিন্তু যে ভাবে এখনও মুখ্যমন্ত্রিত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন তা একরকমের গা জোয়ারি। এবং মানিক সাহার অপমান।