কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে সত্যিই শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে কিনা, তা নিয়ে গোটা দেশজুড়েই বিতর্ক চলছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, মসজিদের ভিতরের কুয়ো থেকে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। যদিও মুসলিম পক্ষের দাবি, কুয়োর ভিতরে থাকা ফোয়ারাকেই শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে। সত্যিই মসজিদ চত্বরে শিবলিঙ্গ রয়েছে কিনা, তা নির্ণয় করার ভার বর্তেছে বারাণসী আদালতের উপরে। কিন্তু সেই ফয়সালা আসার আগেই নয়া বিতর্ক উসকে দিলেন কাশীর কারবাত মন্দিরের পূজারি গণেশ শঙ্কর উপাধ্যায়।
এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘একদল জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় পাওয়া একটি জিনিসকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছেন। কিন্তু আমি যতদূর জানি, জ্ঞানবাপী মসজিদে কোনও শিবলিঙ্গ নেই। আমি আমার জীবনে ওখানে কোনও শিবলিঙ্গ দেখিনি। আসলে শিবলিঙ্গ বলে যা দাবি করা হচ্ছে তা একটি ঝর্ণা (ফোয়ারা)। ছোটবেলা থেকেই ওই ঝর্ণা দেখে আসছি।’
অন্যদিকে এদিনই জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানির সময়ে অন্য আইনজীবীদের এজলাসে ভিড় না বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেস। যদিও মসজিদ চত্বরের ‘মা শৃঙ্গার গৌরী অঞ্চলে’ (ওজুখানা ও ভূগর্ভস্থ তহ্খানা) পুজোর অধিকার চেয়ে পাঁচ মহিলা ভক্তের দায়ের করা আবেদন নিয়ে রায় সংরক্ষিত রেখেছেন তিনি। বিতর্কের কারণে সংবেদনশীল এই মামলার আদালত পরিবর্তন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আবেদনের জেরে বারাণসী দায়রা আদালতে থেকে বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয় সংবেদনশীল মামলাটি।