বিজেপিতে তাঁকে সন্দেহের নজরে দেখা হত এবং কোনও দামও ছিল না বলে তিনি দল ছাড়তে বাধ্য হলেন বলে দাবি করলেন অর্জুন সিং৷ ফুলেই রইলেন, তবে পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগদান করলেন৷ তিনি নামেই বিজেপিতে ছিলেন, তাঁকে দলের কেউ বিশ্বাস করতেন না বলেও দাবি করেন ভাটপাড়ার এই নেতা৷
এদিকে, এদিন রাতে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে নিরাপত্তা দিতে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছ’দিন আগেই বিজেপি ছাড়ার কারণটা জানিয়েছিলেন বলেন দাবি করে অর্জুন বলেন, ‘বাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে, সংগঠনকে ড্যামেজ করে দিয়েছে৷ সংগঠন বলে কিছুই নেই৷ আমরা যাঁরা বিজেপিতে এসেছিলাম, তাঁরা নামে বিজেপিতে ছিলাম, আমাদেরকে বিশ্বাসই করতে পারত না। আমরা তাঁদের সাংসদ হয়েছিলাম৷ আমার তিনটে জেলার দায়িত্ব ছিল৷ কিন্তু সেই জেলাতে কী হবে, না হবে তার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না। আমাদের কোনও দামই ছিল না, আমাদের উপরে সবসময় সন্দেহ করা হত।’
তাঁর আরও দাবি, ‘রিক্স নিয়ে ব্যারাকপুরে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছিল। সেই মানুষগুলোকে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষা দিতে হত, অনেকের চাকরি চলে গিয়েছিল, অনেকে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সমস্ত ব্যাপারটাকে নিয়ে এরা লড়াইয়ের মধ্যে ছিল না আমরা বলার পরেও। তখন আমরা ঠিক করলাম, দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাব’৷
শুধুমাত্র একটা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে একটা দলের মধ্যে থেকে, যখন মানুষের কিছু ভালোই করা যাবে না, দলই যেখানে পাশে দাঁড়াচ্ছে না, সেখানে সেই মানুষগুলোর প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বাধ্য হয়ে শ্রমিকের জন্য লড়াই করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বলেও জানান অর্জুন৷ যদিও বিজেপির সাংসদ পদ থেকে এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না বলেই জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘ইস্তফা দেওয়ার হয় তাহলে নিশ্চিত দেব, আবার নির্বাচন হবে৷’ তাঁর দাবি, ‘দু’জন এমন সাংসদ আছেন, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েবিজেপিতে আছেন, তাঁরা ইস্তফা দিলে আমিও সঙ্গে সঙ্গে ইস্তফা দিয়ে দেব।’