মিষ্টি লাভার মানুষ চারদিকে থিকথিক করছে। তাঁদের আর আলাদা করে খুঁজতে হয়না। এবার সেই মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য রইল সুখবর। সোমবার থেকে বর্ধমানে বসতে চলেছে মিষ্টিহাব। আর দেরি না করে পৌঁছে যান। আর নিজের পছন্দের মিষ্টির স্বাদ নিন। ২০১৭ সালে ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন। কিন্তু মানুষের থেকে তেমন সাড়া না পাওয়ায় খোলার কিছুদিনের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। লোকসান ঠেকাতে একে একে সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
বর্ধমানে এই স্বাদের মিষ্টিহাব তৈরির পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের সব জেলার মিষ্টির ঠাঁই হবে এক ছাদের তলায়। মহাধুমধামে এই হাব চালু হলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফের খুলতে চলেছে এই হাব। তবে ব্যাবসায়ীদের একাংশের মধ্যে এখনও স্টল খোলা নিয়ে অনীহা আছে। তাঁরা দিন কয়েক আগে জেলা শাসকের কাছে নিজেদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন। সেখানে কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সব স্টল খুলে যাবে।
তবে এই হাব খোলা নিয়ে ব্যাবসায়ীদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তাই প্রথমেই সব দোকান খুলছে না। আপাতত পাঁচ থেকে ছ’টি স্টল খোলা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের ইচ্ছে চলতি মাসের মধ্যেই সব দোকান খুলে দেওয়ার। বর্ধমানের বামচাঁদাইপুরে দু নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় মিষ্টি হাব। বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা থেকে শুরু করে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কৃষ্ণনগরের,সরপুরিয়া, নবদ্বীপের দই, জয়নগরের মোয়া, কলকাতার রসগোল্লা সবই থাকবে এই হাবে। নতুন করে খোলা এই হাব নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ী মহলের একাংশ। অনেকেই মনে করছেন, এবারের ব্যবসা ভাল হবে। জেলা প্রশাসন স্টলগুলিতে রং করেছে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের বন্দোবস্তও করে দেওয়া হয়েছে।