সারা বিশ্বেই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে বড়সড় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। একইরকম ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে ভারতীয় শেয়ার মার্কেটে। ল্যাডারআপ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাঘবেন্দ্র নাথ সম্প্রতি বলেছেন যে, যদি আগামী কয়েকটি উন্নত দেশে মন্দা দেখা যায় তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এইবার মুদ্রাস্ফীতি এত বেশির বেড়ে গিয়েছে এবং বিশ্বের চারিদিকে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে সুদের হার বাড়ানো ছাড়া একে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও উপায় নেই। সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাঘবেন্দ্র বলেছেন, “উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের উন্নত অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই দুইয়ের কারণে যদি বেশ কিছু উন্নত দেশে মন্দা আসে তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।” এরপর রাঘবেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে কি উন্নত দেশগুলিতে মন্দা আসতে পারে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বড় বড় ইউরোপীয় বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলিতে প্রাক-অতিমারীতে খুবই মাঝারি ধরণের মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। এই সময় বৃহৎ আকারের আর্থিক সহজীকরণ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল। করোনা অতিমারী বিশ্বে থাবা বসানোর পর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি কঠোর নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল।”
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে বর্তমানের মূল্যবৃদ্ধির চিত্রটা খানিক ভিন্ন। এই বার মুদ্রাস্ফীতি এত বেশি বেড়ে গিয়েছে যে শুধুমাত্র সুদের হার বৃদ্ধি করে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই মুশকিল। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হার অধিকাংশ অর্থনীতির বিকাশকে প্রভাবিত করবে এবং এর মধ্যে কয়েকটি অর্থনীতিতে মন্দা এলে তা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়। ল্যাডারআপ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাঘবেন্দ্র নাথ বলেছেন যে, শেয়ার বাজারের ভ্যালুয়েশন কমে যাওয়ার পড়ে মার্কেটে আরও পতন দেখা দিতে পারে। আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে না কমবে, কতটা বৃদ্ধি বা হ্রাস পাবে তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। বাজারের অস্থিরতা আগামী এক বছর বা তারও তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। ভারতের তেল আমদানির উপর নির্ভরতা মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ। তেলের কারণে ভারতের দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রভাবিত হওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রার উপরও অনেক চাপ পড়ে। এমতাবস্থায় অন্যান্য দেশের মতো ভারতকেও সুদের হার বৃদ্ধি করতে হবে। এমনই মত প্রকাল করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
