‘ডিএ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার,’ শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে আদালত। আর সেই সূত্রেই তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মেটানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে স্যাট-এর নির্দেশ বহাল রাখার রায় দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই স্যাট যা নির্দেশ দিয়েছিল, সেই রায়ই বহাল রেখেছে আদালত। এই রায় ঘোষণার পরেই স্বস্তিতে সরকারি কর্মচারিরা। যদিও আদালতের চেয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিই বিশেষ আস্থা রেখেছে সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় এদিন বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি হাইকোর্টের রায় দিয়েছেন ঠিকই তবে আমরা, যারা সরকারি কর্মচারী, অধিকাংশই মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা ভরসা রাখি’। দিব্যেন্দু আরও বলেন, ‘আর্থিকভাবে যা যা ক্ষতি হল তা নিশ্চয়ই তিনি দেখে নেবেন এবং শুধু ডিএ নয় চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রমোশনের স্বচ্ছতা সবটাই তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই রায় বিচারপতি দিয়েছেন, প্রশাসন ভেবে দেখবে কী করা যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা আছে’।
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান। কিন্তু বাংলায় সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরই হয়নি। ২০১৬ সালে ডিএ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে। এরপর থেকে মামলা একবার স্টেট অ্যাডমিনস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) কাছে যায়, একবার যায় হাই কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হিসেব মতো পঞ্চম বেতন কমিশন ও ষষ্ঠ বেতন কমিশন মিলিয়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ শতাংশের দাবিতে মামলা সরকারি কর্মীদের।