কলকাতায় অনেকেই নিজের আত্মীয় স্বজন বা পরিবারের কারও স্মৃতির উদ্দেশে জলসত্ৰ উৎসর্গ করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই, পথচলতি মানুষ যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল পান। কিন্তু প্রথম ক’য়েকবছর সেগুলি ভাল থাকলেও পরে আর রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। অপরিচ্ছন্ন জলসত্রে বিপদ ঘটে। তাই জন্য এবার থেকে চাইলেই আর তা করতে দেবে না কলকাতা পুরসভা।
বরং বহু জলসত্রে জল সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুরসভা। কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরু জলসত্ৰ আছে। ফলে পুরসভা পরিশ্রুত জল সরবরাহ করলেও, সেগুলির ট্যাঙ্ক নোংরা থাকার কারণে সেই জল নোংরা হয়ে যায়। তাই এবার থেকে জলসত্ৰ করতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। শুধু তৈরি করলেই হবে না, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করার অঙ্গীকারপত্রে সই করতে হবে। তবেই তৈরি করা যাবে জলসত্ৰ।
এরপরই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। এবার থেকে কেউ যাতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে জলসত্ৰ না করতে পারে, তা কাউন্সিলরদের দেখতে হবে। করতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। বানালেই হবে না, রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যারা দায়িত্ব নিতে পারবে, তাদেরই অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, পুরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে তবেই মিলবে জলসত্রের অনুমতি। এখন যে জলসত্ৰগুলির অবস্থা খারাপ, সেগুলিতে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। যেগুলো কোনও সংস্থা বিজ্ঞাপনের জন্য করেছিল, সেগুলি প্রয়োজনে পুরসভা সংস্কার করে অন্য কোনও সংস্থা দায়িত্ব নিতে চাইলে তাঁদের দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পারমিতা চট্টোপাধ্যায় তাঁর ওয়ার্ডের ওয়াটার কিয়স্ক বা ওয়াটার এটিএমগুলির দুর্দশার কথা সামনে আনেন। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুরসভা পরিশ্রুত পানীয়জল সরবরাহ করছে। কিন্তু জলের ট্যাঙ্কের নোংরা পরিস্কার হচ্ছেনা। ওই জল খেলে অসুখ হতে পারে।’ এরপর মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, ওইগুলো একটাও পুরসভার অনুমতি নিয়ে হয়নি। নিজেদের বিজ্ঞাপনের জন্য কেউ কেউ করেছে।