শুক্রবার গরু চরাতে গ্রামে মাঠে গিয়েছিল ওই চার শিশু। কিন্তু কে ভেবেছিল যে তারা আর ফিরবে না! সেখানে একটি কৌটোর মত বস্তু পড়ে থাকতে দেখে তারা সেটি নিয়ে খেলতে শুরু করে। আচমকাই কৌটোটি ফেটে যায়। বিকট শব্দ শুনে মাঠের দিকে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। সেখান চারজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
আচমকা গ্রেনেড বিস্ফোরণে ঝলসে গেল চার শিশু এই ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের গোয়ালগাঁও গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই চার শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। গোয়ালগাঁও গ্রামটি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি জায়গায়।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনা ঘিরে তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ওই মাঠের দিকে যেতে সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান দুলাল মণ্ডল বলেন, বিএসএফ ক্যাম্প লাগোয়া ওই এলাকায় বোমা কীভাবে এল বুঝতে পারা যাচ্ছে না। জায়গাটা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। পুলিশের আধিকারিকরা এসে ছিলেন। তাঁরা তদন্ত করছেন।
এরপর চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চোপড়ার দলুয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে চারশিশুকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। চারজনেরই মুখ ও শরীর ঝলসে গিয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসলামপুর পুলিশ জেলার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকেরাও সেখানে যান। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণ হওয়া সেই কৌটোর অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কৌটোটির গায়ে বিএসএফ এবং স্টেন গ্রেনেড লেখা রয়েছে। তাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই গ্রেনেডটি বিএসএফের। তবে ওই গ্রেনেড কীভাবে জমিতে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর কেউ বা কারা সেটি চুরি করে জমিতে ফেলে রেখেছে বলেই অনুমান। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।