পড়াশোনার সাথে সাথে খেলাধুলাও যেদিন সর্বত্র গুরুত্ব পাবে, সেদিনই সন্তানের সাফল্য নিশ্চিত। এর জন্য মা-বাবা অর্থাৎ পরিবারকে বুঝতে হবে। জানতে হবে। এমনটাই মনে করেন কপিল দেব। উনি মনে করেন, বাবা-মায়েরা যে দিন থেকে খেলাকে গুরুত্ব দেবেন, সে দিন থেকেই একমাত্র সর্ব স্তরের খেলাধুলোতে ভাল ফল করবে ভারত। কিংবদন্তি অলরাউন্ডার স্বীকার করছেন, বাবা-মায়েদের খেলা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক পরিবর্তনই এসেছে, কিন্তু আরও অনেক পথ যাওয়া বাকি। গত রবিবারই টমাস কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্রণয়, শ্রীকান্তরা।
তার পরেই এমন মন্তব্য এসেছে খোদ তিরাশি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্রিকেট দলের অধিনায়কের থেকে। উনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দেশে বাচ্চাদের চেয়েও খেলাধুলোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা বাবা-মায়েদের।’’ নিজের ছোটবেলার কথা মনে করতে গিয়ে কপিল বলেন, স্কুল ব্যাগের মধ্যে খেলার সরঞ্জাম লুকিয়ে ভরে নিয়ে খেলতে যেতেন তিনি। ‘‘দেখে এত আনন্দ হয় এখন যে, বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের খেলতে নিয়ে যাচ্ছেন।’’ কপিল আরও বলেন, ভারত একটি তরুণ দেশ এবং অল্প সময়ের মধ্যে যা সাফল্য অর্জন করেছে, তা অনেকেই পারেনি।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে ভারতীয় কনসুলেট জেনারেলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কপিল। সেখানেই তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, খেলায় ভারতের অগ্রগতির ব্যাপারে বাচ্চাদের থেকেও বেশি ভূমিকা বাবা-মায়েদের। আমাদের দেশে বেশি বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয় কারণ বাবা-মায়েরা চান তাঁদের সন্তানেরা তা-ই হোক। যে দিন বাবা-মায়েরা চাইবেন, তাঁদের সন্তানেরা ক্রীড়াবিদও হোক, সে দিন আমরাও অনেক চ্যাম্পিয়ন পাব।’’
এর পর নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেও উদাহরণ টানেন তিনি। বলেন, তাঁর মেয়ের সামনে যদি একই সঙ্গে দশম শ্রেণির পরীক্ষা আর জুনিয়র স্তরে খেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে তিনিও মেয়েকে বলবেন, যাও গিয়ে পরীক্ষায় বসো। ‘‘আমেরিকা, ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ায় বাবা-মায়েরা বলতে পারেন, এক বছরের জন্য পরীক্ষাটা বন্ধ থাক, দেখে নাও খেলায় কিছু করতে পারো কি না। সেই মনোভাবটা এখনও আসেনি আমাদের দেশে।