বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বারাণসী জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। আদালতের নির্দেশে মসজিদে সমীক্ষা চলেছে। সমীক্ষা চলাকালীন ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ মিলেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এরপরই সিল করা হয়েছে মসজিদের ওজুখানা। এই আবহে এবার মথুরার ইদগাহ ময়দানও সিল করে সেখানে নমাজ বন্ধের আর্জি জানিয়ে আবেদন দায়ের হল আদালতে। মথুরার স্থানীয় আদালতেই দু’জন আইনজীবী এই নিয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
লখনউয়ের একজন আইনজীবী শৈলেন্দ্র সিং মথুরা দায়রা জজ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। আবেদনে তাঁর আর্জি ছিল, শাহি ইদগাহে মুসলমানদের নামাজ পড়া থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হোক। আবদেনকারী বলেন, ‘যেখানে মন্দির ছিল সেখানেই শাহি ইদগাহ মসজিদ গড়ে উঠেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখানেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই আবহে আমরা চাই না যে মুসলমানরা শাহি ইদগাহ মসজিদে নমাজ পড়ুক।’
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। এই আবহে বিগত দিনে এই মন্দির সংলগ্ন শাহি ইদগাহ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মন্দিরের কাছে যে মসজিদটি আছে, তা হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন আগেই মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সেই মসজিদ এলাকায় সমীক্ষার জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনরকে নিয়োগের পিটিশন দায়ের হয় আদালতে। এই একই ধরনের এক পিটিশনের ভিত্তিতেই কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে মথুরার সিভিল জাজ কোর্টে এই মামলা চলছে। ভগবান কেশবদেব মন্দিরের তরফে দায়ের পিটিশনে শাহি দরগা সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এলাকা শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি বলে দাবি করা হয়। মন্দিরের দাবি ইদগাহের ১৩.৩৭ একর জমি তাদের।