খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির চড়া হার আগেই আট বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিল। এ বার পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ২৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলল। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে টাকার দরও পড়ছেই। যার জেরে এক ডলারের দাম বেড়ে ৭৭.৭৯ টাকা ছুঁয়ে ফেলল।
দিল্লীতে সারা দিন বিজেপির মন্ত্রী-নেতাদের চোখ রইল টিভির পর্দায়, জ্ঞানবাপী (যার অর্থ জ্ঞানের কূপ) মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। দিল্লির শাহজাহান রোডে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রাস্তার নাম বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে না অর্থমন্ত্রী, না তাঁর অর্থ মন্ত্রক— কারও তরফ থেকেই কোনও সাড়াশব্দ মিলল না। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের প্রশ্ন, অভূতপর্ব ও অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন?
বিরোধীদের আরও অভিযোগ, বাজারদরের আগুন থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপি তথা আরএসএসের সংগঠনগুলি কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরার ইদগা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে। সে দিক থেকে তারা সফল। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশে শুধু জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ মিলল কি মিলল না, তা নিয়েই বিতর্ক।
তৃণমূলের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি তিন দশকের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু বিতর্ক চলছে কুতুব মিনার, লাউডস্পিকার, তাজমহল নিয়ে। যেখানে চড়া মূল্যবৃদ্ধি, টাকার পতন, অর্থনীতির অব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।