মৃত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাশিয়ার ময়নাতদন্তের পর তাঁর শরীরে থাকা জামা, প্যান্ট, জুতো ও অন্য সামগ্রী না দেওয়ার অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। দাবি ছিল, আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ দিতে অস্বীকার করেছে। শুক্রবার এই মামলায় হাসপাতাল রাজেশ চৌরাশিয়ার সমস্ত পোশাক ও ভিসেরা রিপোর্ট রাজ্যের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে জানাল রাজ্য।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, অনলাইন জুয়ার নেশায় কি বেতনের প্রায় পুরো টাকাই খুইয়েছিলেন অর্জুন চৌরাসিয়া? কারখানা থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পর পরিবারের হাতে বেতনের টাকাও দিতে পারেননি বলেই খবর পেয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই অর্জুনের ঝুলন্ত দেহের পকেটে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। এই ধরনের কিছু তথ্য পুলিশের কাছেও এসেছে। যদিও পুলিশের পক্ষে এই তথ্যগুলি যাচাই করা হচ্ছে।
গত ৫ মে গেঞ্জির কারখানার কর্মী অর্জুনকে ১১ হাজার ১০০ টাকা বেতন দেন সুপারভাইজার তথা তাঁরই দাদা আনন্দ চৌরাসিয়া। চিৎপুরের বাসিন্দা ও বন্ধুরা জেনেছেন, বেতন পাওয়ার পরই উত্তর কলকাতারই একটি জায়গায় গিয়ে অনলাইন জুয়া খেলে বেতনের প্রায় সাড়ে দশ হাজার টাকা খুইয়ে ফেলেন অর্জুন। বাড়িতে আসার পর কোনও টাকা দিতে পারেননি। টিফিনবক্স রেখে ওই গামছাটি নিয়ে বেরিয়ে যান। তবে সেদিন সন্ধ্যায় এই কারণে কথা কাটাকাটি বা গোলমাল হচ্ছিল কি না, সেই তথ্য পুলিশও জানার চেষ্টা হচ্ছে।