জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পর এবার কোপ বসেছে বাঙালির রবিবারে। মুরগির দাম নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রবিবারের পাত থেকে ভ্যানিশ হতে পারে চিকেন। কারণ মুরগির দাম ছুঁয়ে ফেলেছে ৩০০ টাকা। এ প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতিও।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডিমের দাম এখন কম রয়েছে, কারণ ডিম বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন ফার্মগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ও মুরগিগুলোও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এরপরই আবার বাড়বে ডিমের দাম।” তিনি বলেন, “ডিমের দাম ৬ টাকা না হলে চাষিরা মারা পড়বে। ডিম বিক্রি করে প্রতি ডিম পিছু চাষিদের ১ টাকা ২৫ পয়সা লস হচ্ছে। ডিমের দাম না বাড়ানো হলে চাষিরা বাঁচবে না।”
উল্লেখ্য, দেশের বিপুল অংশের মানুষের প্রোটিনের জোগানের অন্যতম উৎস হল ডিম। সহজলভ্য ও সস্তা এই খাবার প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে দরিদ্র মানুষের কাছেও অনন্য উপাদান। ডিমের দাম বৃদ্ধির ফলে তাঁদের পকেটেও চাপ পড়তে পারে। এছাড়া মধ্যবিত্তের হেঁসেলেও ডিমের আলাদা স্থান রয়েছে। এর দাম বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্তের সাংসারিক বাজেটেও চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।
শুক্রবার কলকাতায় ডিমের ডজন রয়েছে ৬০ টাকা, উত্তরবঙ্গেও দাম একই। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের পকেটে ব্যাপক চাপ পড়ছে। এরমধ্যেই যদি ডিমের দাম বাড়ে, তবে নিঃসন্দেহে তা গোদের উপর বিষফোঁড়ার সমান হবে। প্রতি পিস ডিম ৬ টাকা করে হলে ডিমের ট্রে’র দাম হতে পারে ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকার কাছাকাছি। কারণ, ট্রে-কিনলে কিছুটা ছাড় পাওয়া যায় দামে।