উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। দাপট বাড়ছে অশনির। তার জেরে ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্র। সঙ্গী ঝোড়ো হাওয়া। রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পথে পুলিশ, পুরকর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অশনির জেরে বাংলায়ও শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বর্তমানে অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে ১৮০ কিমি দূরে রয়েছে অশনি। বিশাখাপত্তনম থেকে ৩১০ কিমি দূরে। আর মছলিপত্তনম থেকে মাত্র ৬০ কিমি দূরে এই সাইক্লোন। ঘণ্টায় ১২ কিমি গতিবেগে এগোচ্ছে অশনি। তবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অশনি ইতিমধ্যেই খানিকটা শক্তি হারিয়েছে।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সমু্দ্রে পাড়ে চলছে মাইকিং। কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন, কলকাতা পুরসভা। হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সি ই এস সি, ডাব্লু বি এস ই ডি সি এল-ও। যাতে ঝড়-জলের ফলে ঘটা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর সহজেই পৌঁছে যায়।
ধীরে ধীরে আরও শক্তি হারাবে অশনি। পরিণত হবে নিম্নচাপে। যদিও অশনির প্রভাবে প্রভাবে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা জুড়ে। ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। ওই রাজ্যের তরফে সতর্ক করা হচ্ছে সকলকে। সমুদ্রের পাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জারি রেল এলার্ট।
এদিকে অশনির প্রভাবে সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্নপ্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই বৃষ্টি হবে। অশনি মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত এলাকার হোটেলগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।