জাওয়াদের মতো সাগরেই শক্তি খোওয়াতে পারে অশনি। তাই শহরে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভাল বৃষ্টি হতে পারে এর জেরে। যদিও কোনও রকমের ঝু্ঁকি নিয়ে নারাজ প্রশাসন। তাই ঘূর্ণিঝড় অশনি নিয়ে বিকাশ ভবনে দমকল দফতরে ডিজি ও বাকি শীর্ষকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া থেকে ২৬০ কিলোমিটার, বিশাখাপত্তনম থেকে ৩০০ কিলোমিটার, গোপালপুর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে সকাল থেকেই। উপকূলবর্তী এলাকাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
অশনি মোকাবিলায় তৎপর কলকাতা পুরসভা। কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ পৌরকর্তারা। উচ্চ বাতিস্তম্ভগুলির ওপর নজর রাখছে পুরসভা। বাতিস্তম্ভগুলি থেকে বাতি নীচে নামিয়ে এনে রাখা হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে নদীতে যাতে না নামে কেউ, তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ফের সার্ভিস বন্ধ করা দেওয়া হতে পারে। পুরসভার প্রত্যেকটা বরো অফিসে কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
কলকাতায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে পাম্পিং স্টেশনগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে জল না জমে। জানা গিয়েছে, মোট ১৪ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন শহরে। ৯ টি ডিভিশনে থাকছে । লালবাজারে ২টি ও পিটিএস-এ ৩টি টিম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। আজ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত এই টিম মোতায়েন থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রস্তুত রয়েছে লালবাজারের বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
এছাড়া, রয়েছে ট্র্যাফিকের ২৫টি টিম রয়েছে। প্রস্তুত আছেন ৪০ জন হোমগার্ড। ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের শেল্টারে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। যারা যেতে চাইবে তাদের যাওয়ার জন্য থাকছে গাড়ির ব্যবস্থা। শুকনো খাবারের দোকান, ত্রিপল কোথায় কোথায় মিলবে সেই তালিকাও তৈরি রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করা হচ্ছে যাদের কাছে গাছ কাটার যন্ত্র ও অন্যান্য উদ্ধার সামগ্রী থাকছে।