সদ্যোজাত শিশু এবং বাচ্চাদের ত্বক, চুল ইত্যাদির যত্নের ক্ষেত্রে গত ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সকলে ভরসা করে এসেছেন জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানিকে। বাচ্ছাদের জন্যে ক্রিম, শ্যাম্পু, সাবান তেল ইত্যাদি নানাধরনের সামগ্রীর ক্ষেত্রে জনসন ছিল সকলের সর্বপ্রথম পছন্দ। কিন্তু জুলাই মাস থেকে জনসনের সাথে জড়িয়েছে ক্যানসার বিতর্ক। আবারও জনসনের ট্যালকম পাউডার থেকে ছড়াল ক্যানসার আতঙ্ক।
ঘটনার সূত্রপাত জুলাই মাসে। তখন ২২ জন মহিলা অভিযোগ করেন ওই ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করার ফলে তাঁদের জরায়ুতে ক্যানসার ধরা পড়েছে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থাকে জরিমানা করে ওই ২২ জন মহিলাকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।
সেই একই ভাবে আবারও এই মাসের গোড়ায় কানাডা থেকে পাউডারের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জানা যায় পাউডার ব্যবহার থেকে হতে পারে ক্যানসার ও ফুসফুসের সমস্যা। জনসনের বেবি পাউডার বাজারে যথেষ্ট জনপ্রিয়। অন্যগুলির তুলনায় জনসনের ১৩ শতাংশ পাউডার বেশি বিক্রি হয়। ফলে এমন একটি জনপ্রিয় সংস্থা সম্বন্ধে এই মারাত্মক প্রশ্ন ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই ঠিক হয় যে বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই নিয়ে কথা ওঠার পরেই নড়েচড়ে বসেছে এদেশের ড্রাগ রেগুলটর কর্তৃপক্ষ। তাই তারা বুধবারই এই সংস্থার টেলকম পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করেছে। নেওয়া হয়েছে ওই পাউডার তৈরির সামগ্রীর নমুনাও। তাছাড়াও এর জন্য গঠন করা হয়েছে ১০০ জনের একটি দল। ওই দলে ড্রাগ ইনস্পেক্টররা থাকছেন। বুধবার থেকেই তাঁরা দেশজুড়ে অভিযানে নামছেন। তাঁরা ওই পাউডার তৈরির পদ্ধতি খতিয়ে দেখবেন। পাইকারি ব্যবসায়ী ও ডিস্ট্রিবিউটরদেরও কাছেও তাঁরা যাবেন। সব ধরনের পাউডারের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
যদিও ওই সংস্থার তরফে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তদন্তে ফের বিষয়টি উঠে আসে। এর জেরে গত শুক্রবার জনসনের শেয়ারের দামে পতন হয়। গত ১৫ বছরে এই প্রথমবার জনসনের শেয়ারের দাম পড়ল।